সন্দেশখালিতে ফের পুলিশি সন্ত্রাসের অভিযোগ। তৃণমূল নেতা শিবু হাজরা, উত্তম সরদারের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ করে গোপন জবানবন্দি দেওয়া মহিলার বাড়ি রাতের অন্ধকারে ভাঙচুরের অভিযোগ পুলিশের উর্দিধারীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার পরে প্রাণ সংশয়ে ভুগছেন ওই মহিলা। আদালতের কাছে নিরাপত্তার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: লোকাল ট্রেনে মহিলার ছবি লুকিয়ে তোলার শাস্তি! হাবড়ায় ধরা পড়তেই বেদম মার, তারপর যা হল…
সন্দেশখালির বাসিন্দা ওই বধূর বাড়ির দেওয়াল তৈরি মুলি বাঁশের বেড়ায়। আর ছাদে টালি। গত বৃহস্পতিবার বসিরহাট আদালতে গোপন জবানবন্দি দিয়ে শিবু হাজরা ও উত্তম সরদারের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ করেন তিনি। এর পর আদালতের নির্দেশে শনিবার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এই ২ ধারা যুক্ত করে পুলিশ। তার ২ ঘণ্টার মধ্যেই ন্যাজাট থানা এলাকা থেকে শিবুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে শনিবার রাতে নিজের ঘরে ছিলেন না অভিযোগকারিনী মহিলা।
তিনি জানিয়েছেন, আমার ওপর রাতে হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছিলাম। তাই শনিবার আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিই। রবিবার বেলায় এসে দেখি ঘর ভাঙচুর করেছে কে বা কারা। দরজার পাশে মুলিবাঁশের বেড়া ভাঙা। উঠোনে পড়ে রয়েছে ভাঙা টালির টুকরো। পুলিশের উর্দি পরে কয়েকজন গভীর রাতে এসে আমার বাড়ি ভাঙচুর করেছে বলে জানতে পারি।
আরও পড়ুন: ক্লাসে ছুরি হাতে পড়ুয়া শাসন প্রধান শিক্ষকের, তুমুল বিক্ষোভ অভিভাবকদের
মহিলা জানান, আমি পুলিশকে ঘর ভাঙচুরের কথা জানিয়েছি। পালটা পুলিশ অফিসার আমাকে প্রশ্ন করেন, পুলিশিই যে ঘর ভেঙেছে সেকথা জানলেন কী করে? আপনি তো বাড়ি ছিলেন না। আমি ওই অফিসারকে বলি, পুলিশের এত নিরাপত্তার মধ্যে বাড়ি ভাঙচুর হলে পুলিশ ছাড়া আর কে ভাঙবে? আমি নিরাপত্তার অভাবে ভুগছি। আমি আদালতের কাছে নিরাপত্তার আবেদন জানাচ্ছি। মৌখিক আবেদনে কাজ না হলে আমি লিখিত আবেদন জানাব। শিবু আর উত্তম গ্রেফতার হলেও অনেক অভিযুক্ত এখনও বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমাকে ওরা যে কোনও সময় খুন করতে পারে।
নির্যাতিতার অভিযোগ সম্পর্কে পুলিশের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।