বাম জমানায় ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী। তখন ছিলেন কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের দাপুটে ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা। তৃণমূল জমানাতে ভিড়ে গিয়েছেন ঘাসফুল শিবিরে। মন্ত্রীত্বের চেয়ারও পেয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে মেয়ের চাকরিও গিয়েছে। তিনি নিজেও খুইয়েছেন মন্ত্রিত্ব। আর মন্ত্রিত্ব চলে যাওয়ার পরেই জেলার রাজনীতিতে ক্রমেই ব্রাত্য হয়ে যাচ্ছেন পরেশ অধিকারী। সূত্রের খবর জেলার একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ডাক পাচ্ছেন না তিনি। মেখলিগঞ্জে তৃণমূলের রাজনীতিতে ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারী।
পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি নিয়ে বড় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। এনিয়ে দলের অন্দরেও ব্যাপক অসন্তোষ দানা বাঁধে। এমনকী মেখলিগঞ্জে তৃণমূলের একাধিক নেতা সরাসরি সরব হয়েছিলেন পরেশের বিরুদ্ধে। আর এখন সেই পরেশের মন্ত্রিত্ব যেতেই তাঁরা আর কোনওভাবেই পরেশের সঙ্গে দল করতে চান না। আগে তাঁকে ঘিরে অনুগামীদের যে বৃত্তটা সর্বক্ষণ থাকত তাঁদের অনেকেই আর পরেশ অধিকারীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে চান না।
এমনকী পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়েছে যে জেলা নেতৃত্বও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে চাইছেন না। সরাসরি জানিয়ে দিচ্ছেন, পরেশ অধিকারীর অপকর্মের দায় আমরা নেব না। সূত্রের খবর , তৃণমূলে আসার পরে দলের তৎকালীন জেলা শীর্ষনেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষের সঙ্গে বিশেষ সখ্য়তা ছিল পরেশের। পরে পরেশ অধিকারী পার্থপ্রতীম রায়ের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। কিন্তু বর্তমানে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে পার্থপ্রতীমকে। তবে কি এর জেরে আরও বেকায়দায় প্রাক্তন বাম নেতা? লাল বাতি ছেড়ে তিনি এখন সাধারণ গাড়িতে এমনকী স্কুটিতেও যাতায়াত করছেন।
তবে সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানিয়েছেন,দলের একটি সুবিধাবাদী অংশ আমার বিরুদ্ধে কুৎসা করছে। দলীয় কর্মীরা আমার সঙ্গেই আছেন।