অন্যান্য জেলার থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের অ্যাফেক্টেড বা 'এ' কনটেনমেন্ট জোন চিত্রের খুব একটা ফারাক নেই। কয়েকটি নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যেই জেলার অধিকাংশ অ্যাফেক্টেড জোন রয়েছে।
জেলা প্রশাসনের সাম্প্রতিক আপডেট অনুযায়ী, পশ্চিম মেদিনীপুরে 'এ' কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা ৩০। তার মধ্যে ৭০ শতাংশ পড়ছে ঘাটাল, দাসপুর এবং কেশপুর থানা এলাকায়। সবথেকে বেশি ১০ টি অ্যাফেক্টেড জোন রয়েছে ঘাটালে। দাসপুর এবং কেশপুরে 'এ' কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা যথাক্রমে ছয় এবং পাঁচ। অর্থাৎ তালিকা থেকেই স্পষ্ট, পশ্চিম মেদিনীপুরে করোনাভাইরাসের অধিকাংশ প্রভাব ওই তিন থানা এলাকায়।
বাকি জেলার মধ্যে খড়্গপুর টাউনে তিনটি এবং গড়বেতায় দুটি অ্যাফেক্টেড জোন রয়েছে। একটি করে এ' কনটেনমেন্ট জোন চিহ্নিত হয়েছে কোতয়ালি, চন্দ্রকোণা এবং শালবনীতে।
রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত ওই ৩০ টি এলাকায় লকডাউনে কোনওরকম বিধিনিষেধ শিথিল হবে না। শুধু অত্যাবশ্যকীয় গতিবিধি বা কাজে ছাড় মিলছে। জেলার বাকি অংশে ধাপে ধাপে বিভিন্ন গতিবিধি এবং কাজের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।