কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা বেশি থাকায় তালিকা নিয়ে খুশি ছিলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সংশোধিত তালিকায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা নেহাত কম নয়। বরং মোট কনটেনমেন্ট জোনের নিরিখে উত্তর ২৪ পরগনা এবং হাওড়ার পরেই রইল দক্ষিণ ২৪ পরগনা।
রাজ্য সরকারের ‘এগিয়ে বাংলা’ ওয়েবসাইট অনুযায়ী, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মোট ৫৪ টি কনটেনমেন্ট জোন রয়েছে। মহেশতলা, বিষ্ণুপুর, বজবজ, রবীন্দ্রনগর, নোদাখালি, সোনারপুর, নরেন্দ্রপুর, জয়নগর, বকুলতলা, কাশীপুর, বারইপুর, জীবনতলা, ক্য়ানিং, ডায়মন্ড হারবার, ফলতা, উস্থি, মগরাহাট, কুলপি, মন্দিরবাজার, রায়দিঘি, হারউড পয়েন্ট কোস্টাল এবং পাথরপ্রতিমা থানার আওতার বিভিন্ন এলাকায় কনটেনমেন্ট জোন চিহ্নিত হয়েছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার কনটেনমেন্ট জোনের তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন
রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা থেকে পরবর্তী সাত দিন কড়া বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে বলে মঙ্গলবারই নবান্নের তরফে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছিল। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা থেকে কনটেনমেন্ট জোনে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরনো যাবে না। সব সরকারি ও বেসরকারি অফিস, বাজার, কলকারখানা এবং বাণিজ্য বন্ধ থাকবে। যাবতীয় যান চলাচলে সম্পূর্ণ বিধিনিষেধ জারি হবে। অনাবশ্যকীয় কাজ বা গতিবিধি সম্পূর্ণ পুরোপুরি নিষিদ্ধ থাকবে। শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা চলবে। একইসঙ্গে কনটেনমেন্ট জোনের বাসিন্দাদের অফিসে না গেলেও চলবে বলে জানানো হয়েছে। যতটা সম্ভব নিত্যপ্রয়োজনীয় এবং জরুরি জিনিসপত্রের হোম ডেলিভারির বন্দোবস্ত করবে স্থানীয় প্রশাসন।
উল্লেখ্য, বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১,৭২৬। মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের। সেরে উঠেছেন ৯৪৩ জন।