ওড়িশার বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর পাঁচ বাসিন্দার। এদের মধ্যে একই পরিবারের ৩ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশে ধান রোপনের কাজে যাচ্ছিলেন তাঁরা। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে এক সহযাত্রী তাঁদের মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন।
পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, বেশ কয়েক বছর ধরে অন্ধ্র প্রদেশে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতেন বাসন্তীর বাসিন্দা হারান গায়েন, নিশিকান্ত গায়েন, দিবাকর গায়েন। বর্ষার ঢোকার মুখে চাষের মরশুমের শুরুতে অন্ধ্র প্রদেশে ধান রোপনের কাজে যাচ্ছিলেন তাঁরা। শুক্রবার রাতে সহযাত্রী এক পরিচিত ব্যক্তি ফোন করে তিন ভাইয়ের মৃত্যুর খবর দেন। এর পরই কান্নায় ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার।
বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনায় বাসন্তীর ছরানেখালি গ্রামের আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের নাম বিকাশ হালদার, সঞ্জয় হালদার। গতকাল সকাল নয়টায় বাড়ি থেকে বের হন তাঁরা। রাতে আসে মৃত্যুর খবর।
শুক্রবার রাতে ওড়িশার বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ২৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ। দিল্লিতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর ঘটনাস্থলে যাবেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে যান ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। ত্রাণ ও উদ্ধারকাজে সর্ব শক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়েছে ওড়িশা ও কেন্দ্রীয় সরকার। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের দল পাঠিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারও।