প্রথমে টাকা নিয়ে চাকরির টোপ এবং পরে চাকরি প্রার্থীকে খুন করা হল। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। কারণ বিজেপি নেতার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে দম্পতির ক্ষতবিক্ষত দেহ। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার গাজোলে। পুলিশ দেহ উদ্ধার করেছে এবং ওই বিজেপি নেতাকেও গ্রেফতার করেছে। সদ্য সমাপ্ত হয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। তার ফলাফল অনুযায়ী, বিজেপি এখন বিরোধী আসনে। সেখানে এমন অভিযোগ ওঠায় জলঘোলা হতে শুরু করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গাজোলের ধর্মতলা মোড়ের ঘোষপাড়ার বাসিন্দা তথা বিজেপি নেতা কৃষ্ণকমল অধিকারীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে দম্পতির ক্ষতবিক্ষত দেহ। মৃতদেহ দুটি হল, গৌতম সরকার (৩৫) এবং তাপসী সরকার (৩০) নামে ওই দম্পতির। উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার থানার বাঙ্গার এলাকার বাসিন্দা তাঁরা। গৌতমের গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে এই ঘটনার পেছনে বিজেপি নেতা কৃষ্ণকমল অধিকারীর হাত আছে উঠে আসতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে? ওই দম্পতির পরিবার সূত্রে খবর, গত ৮ মে সরকারি চাকরির প্রশিক্ষণ দেওয়ার নাম করে তাঁদের নিজের বাড়িতে ডাকেন কৃষ্ণকমল। ৯ মে কৃষ্ণকমল বাড়ি ফিরলেও ওই দম্পতির কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাঁদের মোবাইলও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। আর ১২ মে ওই বিজেপি নেতার বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান বাঙ্গার এলাকার বাসিন্দারা। তখন ইটাহার থানায় দম্পতির আত্মীয়রা অভিযোগও দায়ের করেন। পুলিশ গিয়ে কৃষ্ণকমলের বাড়ি থেকে ওই দম্পতির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত কৃষ্ণকমল অধিকারীকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। দম্পতির পরিবারের অভিযোগ, কৃষ্ণকমল তাপসীকে নার্সের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে চার লক্ষ টাকা নিয়েছিল এই বিজেপি নেতা। পুলিশ বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে। এই চার লক্ষ টাকা ফেরত দিতে পারবে না বলেই স্বামী–স্ত্রীকে একসঙ্গে খুন করা হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।