সন্দেশখালি কাণ্ডে আদালতের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়ল পুলিশ। সোমবারও ধৃতদের গ্রেফতার সংক্রান্ত নথি আদালতে পেশ করতে পারেননি তদন্তকারী আধিকারিক। তখন পুলিশকে ভর্ৎসনা করেন বসিরহাট আদালতের বিচারক। এরপর বিচারক পুলিশকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন দ্রুত নথি পেশ করতে হবে, নথি পেশ না করা ছাড়া শুনানি হবে না। উল্লেখ্য, ধৃত নিরাপদ সর্দার, উত্তম সর্দার এবং বিকাশ সিংহকে এদিন আদালতে তোলা হয়।
রবিবার একইভাবে আদালতে পেশ করা হয়েছিল তিন ধৃতকে। তবে সন্দেশখালি থানার তদন্তকারী অফিসার এদিনও নথি পেশ অধিবেশ করতে না পারায় ক্ষুব্ধ হন বিচারক। তিনি পুলিশের উদ্দেশ্যে মন্তব্য করেন, ‘ অপদার্থের মতো কাজ।’ একই সঙ্গে ‘অভিযুক্তদের বেআইনিভাবে পেশ করা হচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেন বিচারক। প্রসঙ্গত, স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে সন্দেশখালিতে পারদ চড়তেই পুলিশ সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ, তৃণমূলের সাসপেন্ডেড নেতা উত্তম এবং বিজেপি নেতা বিকাশকে গ্রেফতার করে। রবিবার তাদের আদালতে পেশ করা হয়। কিন্তু, নথি পেশ করতে না পারায় গতকাল শুনানি হয়নি। তাই আজ সোমবার পুলিশকে সময় দিয়েছিল আদালত। কিন্তু, আজও নথি পেশ করতে না পারায় ক্ষুব্ধ হন বিচারক।
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরেই বিক্ষোভ চলছে সন্দেশখালিতে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, শেখ শাহজাহান ও তাঁর সহ দুই সহযোগী শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দার তাঁদের বিঘার পর বিঘা জমি লিজ নিয়েছে। কিন্তু লিজের টাকা গ্রামবাসীদের দেওয়া হতো না। তা নিয়ে লাগাতার কয়েদিন ধরে বিক্ষোভ চলছে সন্দেশখালিতে। এই বিক্ষোভ চলাকালীন বুধবার সকালে তৃণমূল ব্লক সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য শিবু হাজরার ভেড়ির অফিস ও পোলট্রি ফার্মে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। সেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শিবু হাজারা। তিনি অভিযোগ করেন, নিরাপদ সরর্দারের নেতৃত্বেই গ্রামবাসীরা আগুন ধারান। তার প্রেক্ষিতেই কলকাতা থেকে সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ককে গ্রেফতার করা হয়। পরে বিজেপি নেতা এবং তৃণমূলের সাসপেন্ডেড নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। এই পরিস্থিতিতে সন্দেশখালি নিয়ে তোলপাড় রয়েছে রাজ্য রাজনীতি।