করোনা সেরে যাওয়ার পর এল লালারস পরীক্ষার রিপোর্ট। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বৈদ্যবাটি পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে। খবর পেয়ে আক্রান্তের পরিবারকে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলেছে প্রশাসন। তবে এতে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন এলাকাবাসী।
জানা গিয়েছে, গত ১৭ মে বৈদ্যবাটি পুর এলাকার মাটিপাড়ার বাসিন্দা এক বৃদ্ধের ধুম জ্বর আসে। ২০ মে ঘূর্ণিঝড়ের পর দিন তাঁর ছেলে বাবাকে উত্তরপাড়া করোনা হাসপাতালে নিয়ে যান। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, সেখান থেকে ওই বৃদ্ধকে রেফার করা হয় শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে। সেখানে করোনা পরীক্ষার জন্য লালারসের নমুনা নেওয়ার পর বৃদ্ধকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগ, দিনের পর দিন কেটে গেলেও লালারস পরীক্ষার রিপোর্ট মেলেনি। এর মধ্যে ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠেন বৃদ্ধ। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা। কিন্তু শনিবার লালারস সংগ্রহর ১৭ দিন পর বৃদ্ধের লালারস পরীক্ষার রিপোর্ট আসতেই ফের মাটিপাড়ার ধানমাঠ এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। জানা যায়, বৃদ্ধ করোনা আক্রান্ত ছিলেন।
খবর পৌঁছয় স্থানীয় প্রশাসনের কাছে। তাদের তরফে পরিবারটিকে ১৯ জুন পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে।
বৃদ্ধকে কেন কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রতিবেশীরা। ১৭ দিন পর রিপোর্ট আসায় করোনাকে রাজ্য সরকার কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে তা স্পষ্ট বলেও মন্তব্য করেছেন তাঁরা।
ঘটনায় ফের একবার পশ্চিমবঙ্গে করোনা পরীক্ষার বেহাল দশা ফুটে উঠেছে বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। শনিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট ১০-১২ দিন পরে পাওয়া যাচ্ছে। ততদিনে হয় মানুষ সেরে যাচ্ছে অথবা মরে যাচ্ছে। এভাবে পরীক্ষা করে লাভ কী? এই নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও। পশ্চিমবঙ্গে ৪০,০০০ করোনার নমুনা পরীক্ষা বকেয়া রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
রাজ্য প্রতিদিন গড়ে ৯,৫০০-র বেশি করোনা পরীক্ষা হয়েছে। মোট সংখ্যাটা ২.৬ লক্ষেরও বেশি।