বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। তাই অগ্নিপরীক্ষা দিতে মাঠে নেমেছেন তিনি। একদা কঙ্কাল–কাণ্ডে তাঁর নাম জড়িয়েছিল। এবার জেলায় ফিরে ভেঙে পড়া সংগঠনকে চাঙ্গা করতে সক্রিয় হয়েছেন সুশান্ত ঘোষ। এই দাপুটে ও বিতর্কিত সিপিএম নেতার প্রত্যাবর্তনের পরেই কৃষি আইনের বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদ চলছে, তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে জঙ্গলমহলের অন্তর্গত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। তার মধ্যেই সংগঠন চাঙ্গা করতে রাস্তায় নেমে মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন। দলের নেতা–কর্মীদের সঙ্গেও কথা বলছেন।
গত ৬ ডিসেম্বর দীর্ঘ ন'বছরের আইনি জটিলতা কাটিয়ে বিরাট মিছিল করে চন্দ্রকোণায় ফিরেছেন সুশান্ত ঘোষ। তারপরেই তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ‘কার কত হিম্মত আছে দেখব’। বেনাচাপড়া কঙ্কাল–কাণ্ড ও নেতাই গণহত্যার মামলায় জড়িয়ে প্রাক্তন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী জেলে গিয়েছিলেন। তবে আইনি লড়াইয়ে তাঁর বিরুদ্ধে এখনও কোনও অভিযোগ প্রমাণ হয়নি। জেলা ও নিজের এলাকা গড়বেতায় ফিরে নতুন করে সংগঠনের কাজে নামছেন তিনি। এমনকী এখান থেকে বিজেপি–তৃণমূলকে একটি ভোটও পেতে দেবেন না বলে ধনুক ভাঙা পণ করেছেন।
মঙ্গলবার কৃষি আইনের প্রতিবাদে দেশজুড়ে চলতে থাকা ধর্মঘটের প্রভাবও জঙ্গলমহলের বিভিন্ন স্থানে দেখা গিয়েছে। জেলার খড়গপুর, দাসপুর, ডেবরা, মেদিনীপুর সদর, চন্দ্রকোণা ছাড়িয়ে পার্শ্ববর্তী বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরী, তালডাংরা, কোতুলপুরে সুশান্ত প্রভাব মালুম হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায় ভালো সাড়া মিলেছে বলে দাবি বাম শিবিরের। এই পরিস্থিতিতে রাস্তায় নেমে বাড়ি বাড়ি যেতে দেখা যাচ্ছে ডাকসাইটে সিপিএম নেতাকে। বৈঠক করছেন নির্বাচনের কৌশল তৈরি করতে।