ঘূর্ণিঝড় আমফান যত উপকূলের দিকে এগোচ্ছে ততই পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে বাড়ছে জলোচ্ছ্বাস। যার জেরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার একাধিক জায়গায় বাঁধে ফাটল ধরার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বিপদ বুঝে বেশ কিছু জায়গায় যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে বাঁধ মেরামতিতে নেমেছেন স্থানীয়রা। ইতিমধ্যে নিচু এলাকা থেকে প্রায় ৩ লক্ষ মানুষকে সরিয়েছে সরকার।
আবহাওয়া দফতরের ডিরেক্টর মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন, বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন উপকূলবর্তী এলাকায় ৩-৪ মিটার পর্যন্ত জলস্তর বৃদ্ধি পেতে পারে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। সেখানে ৫-৬ মিটার জলস্তর বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। যার জেরে আয়লার মতো একাধিক বাঁধ ভেঙে লোনা জল ঢোকার সম্ভাবনা রয়েছে নীচু এলাকাগুলিতে।
সেই আশঙ্কার কথা ভেবে বুধবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায় বাঁধ মেরামতি করতে দেখা যায় স্থানীয়দের। বস্তায় বালিমাটি ভরে দুর্বল বাঁধগুলি মজবুত করেন তাঁরা।
ওদিকে বুধবার সকাল থেকেই দিঘার সমুদ্র সৈকতে শুরু হয়েছে প্রবল জলোচ্ছ্বাস। যার জেরে দিঘা থেকে শঙ্গরকপুর যাওয়ার সৈকত সরণির পাশের বোল্ডারগুলি রাস্তার ওপর এসে পড়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মৃদুল জানা বলেন, ‘খুব আতঙ্কে আছি। একে করোনার জেরে আয় উপায় বন্ধ। তবু ভিটেটুকুতে মাথা গুঁজে ছিলাম। এবার ঝড়ে মনে হচ্ছে সেটাও যাবে।’
ঝড়ের মুখে অসহায় মৎস্যজীবীরাও। ইতিমধ্যে বদ্ধ জলাশয়ে শক্ত করে ট্রলারগুলিকে বেঁধে রেখেছেন তাঁরা। কিন্তু তাতেও কাটছে না আশঙ্কা।
বুধবার বিকেলে ভূভাগে প্রবেশ করবে ঘূর্ণিঝড় আমফান। তার জেরে ইতিমধ্যে প্রবল বর্ষণ শুরু হয়েছে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে। পূর্বাভাস অনুসারে সময় যত এগোবে তত বাড়বে ঝড় ও বৃষ্টির তীব্রতা। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত চলবে এই দুর্যোগ।