বিনয় তামাং–বিমল গুরুং শিবির যখন পাহাড়ে আড়াআড়িভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েছে তখন তার ফায়দা তুলতে চাইছে পাহাড়ের অন্যান্য রাজনৈতিক দল। এই বিষয়ে তাঁরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে বৈঠক করেন। তাঁদের দাবি, ওই বৈঠকে অমিত শাহ তাঁদের কাছে জানিয়েছেন, ১১টি গোর্খা সম্প্রদায়কে তফসিলি উপজাতি স্ট্যাটাসের অন্তর্ভূক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই, সেই বিভাজনের রাজনীতি করে ভোট বৈতরণী পার করার কৌশল নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে বৈঠকের পর রাজনৈতিক দলগুলির নেতারা জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পাহাড়ে গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে চিরস্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান করা হবে। এই বৈঠকে যোগ দেয় জিএনএলএফ, সিপিআরএম, এআইজিএল ও অন্যান্য দল। এরা দিল্লিতে গিয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিষান রেড্ডির সঙ্গেও বৈঠক করেন। তারপর অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এই বৈঠকের পর জিএনএলএফ–এর মহেন্দ্র ছেত্রী বলেন, ‘২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই তফসিলি উপজাতি স্ট্যাটাস ঘোষিত হবে। বৈঠক ইতিবাচক হয়েছে।’ উল্লেখ্য, এই বিধানসভা নির্বাচনে জিএনএলএফ বিজেপি’র জোটসঙ্গী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। ১৯৮০ সালে এই জিএনএলএফ গোর্খাল্যান্ড নিয়ে আগুন জ্বালিয়েছিল পাহাড়ে।