শনিবার রাতে দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হয়েছেন উত্তর ব্যারাকপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শিপ্রা মজুমদারের স্বামী গোপাল মজুমদার। প্রথমে দুষ্কৃতীরা তাকে মাথায় আঘাত করে এবং পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে পরিবারে। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন ওই তৃণমূল নেতার মেয়ে। কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, 'বাবাকে ওরা মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিল। সেকথা বাবা আমাকে বলেছিল। তবে কারা মেরে ফেলবে সে কথা কোনওদিন বলেনি। মুখ্যমন্ত্রী আমার বাবাকে ভালো করেই চেনেন। আমি শুধু বিচার চাই। দোষীদের শাস্তি চাই।'
কাঁদতে কাঁদতে এই তৃণমূল নেতার মেয়ে আরও একটি অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, 'আমার বাবা উন্নতি করছিল তাই তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন নিহত তৃণমূল নেতার স্ত্রী শিপ্রা মজুমদার। কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে তিনি বলেন, 'দল ছাড়া আমার স্বামীর অন্য কোনও নেশা ছিল না মানুষের দরকারে সব সময় নিজেকে উৎসর্গ করেছে। ও খুব ভালো লোক ছিল। ওকে আপনারা ফিরিয়ে দিন। আমি এর বিচার চাই।'
শনিবার রাতে দলীয় কার্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার সময় দুষ্কৃতীরা প্রথমে তার পথ আটকায়। এরপরে তাকে খুন করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন । এদিকে, ঘটনার খবর পাওয়ার পরেই ঘটনাস্থলে নোয়াপাড়া থানার পুলিশ ও ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা সহ বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছয়। কে বা কারা এই দুষ্কৃতী তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এই ঘটনায় বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল নেতারা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই এই খুনের ঘটনায় বিজয় মুখোপাধ্যায় নামে অর্জুন সিংয়ের এক ঘনিষ্ঠকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।