ভুট্টার ক্ষেত থেকে উদ্ধার হল এক যুবতীর ক্ষতবিক্ষত বিবস্ত্র দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের মোথাবাড়ি থানার হামিদপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। বছর পঁচিশের ওই যুবতী এলাকারই বাসিন্দা। যেভাবে নগ্ন অবস্থায় তার দেহ উদ্ধার হয়েছে তাতে পরিবারের সদস্যদের ধারণা ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে তাকে। স্বাভাবিকভাবেই এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। ঘটনাস্থলে মোথাবাড়ি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের মামলা আসেনি সন্দেশখালিতে, দাবি পুলিশের, মহিলা কমিশন বলল পুলিশ করতে দেয়নি
মৃত যুবতীর পরিবারের অভিযোগ, ব্যক্তিগত কোনও শত্রুতার কারণে অপহরণের পর ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে যুবতীকে। যদিও এই ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত সে বিষয়ে এখনও কোনও কিছু জানা যায়নি। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, সরস্বতী পুজোর দিনে সবজি কাটতে হাঁসুয়া নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন ওই যুবতী। তখন সন্ধ্যে ৭ টা বাজে। তিনি সেই সময় একাই ছিলেন। তাঁর সঙ্গে তাঁর মা যেতে চাইলেও আপত্তি জানান যুবতী। এরপর আর তিনি বাড়ি ফেরেননি। ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চিন্তিত হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। রাতভর খোঁজাখুঁজির পরেও মেয়েকে না পেয়ে তারা ভেবেছিলেন তাদের মেয়ে হয়তো কোনও যুবকের সঙ্গে ঘর ছেড়েছেন। কিন্তু, আজ সকালে ফের খুঁজতে গিয়েই ভুট্টার ক্ষেতে যুবতীর নগ্ন অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে মোথাবাড়ি থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, মৃতের গলায় এবং মাথায় কোপানো হয়েছে। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মৃতার মায়ের অভিযোগ, তাদের মেয়েকে কোনও শত্রুতার কারণে অপহরণ করে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে তারপরে খুন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই মালদা জেলায় এক নাবালিকার মুণ্ডুহীন দেহ উদ্ধার হয়েছিল। পরপর লাগাতার এমন অপরাধমূলক ঘটনা ঘটায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে জেলাবাসীর মধ্যে।