কাটমানির বিনিময়ে বেসরকারি সংস্থাকে কারখানা তৈরি করতে দিয়েছেন প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান। যার জেরে ব্যহত হচ্ছে বিস্তীর্ণ এলাকার নিকাশি। অভিযোগ জানিয়েও কাজ হয়নি। অবশেষে গ্রামবাসীদের ক্ষোভ আছড়ে পড়ল পঞ্চায়েত দফতরে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ময়দানে নেমে মার খেলেন তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান ও আরও ১ পঞ্চায়েত সদস্য। ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার নুরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের।
শুক্রবার দুপুরে নুরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে সামনে তুমুল বিক্ষোভ দেখান এলাকার ৭টি গ্রামের বাসিন্দারা। পঞ্চায়েত দফতর থেকে কর্মীদের বার করে তালা ঝুলিয়ে দেন তাঁরা। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান। তাঁকে দেখেই ঝাঁপিয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। উপস্থিত এক পঞ্চায়েত সদস্যকেও মারধর করেন গ্রামবাসীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দেগঙ্গা থানার বিশাল বাহিনী। প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানকে উদ্ধার করে তারা। এর পর পঞ্চায়েত চত্বরে পোস্টার সাঁটাতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, নুরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কালিয়ানি বিল এলাকায় একটি বেসরকারি সংস্থা কারখানা তৈরি করছে। যার জেরে এলাকার নিকাশি ব্যহত হচ্ছে। পঞ্চায়েতে বারবার অভিযোগ করেও সুরাহা হয়নি। তাঁদের দাবি, কাটমানি নিয়ে নিকাশি আটকে কারখানা তৈরির অনুমতি দিয়েছে পঞ্চায়েতের কেষ্ট বিষ্টুরা। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, প্রয়োজনীয় সমস্ত অনুমতি নিয়েই কারখানা তৈরির কাজ চলছে। ফলে তাদের পক্ষে কাজ বন্ধ করা সম্ভব নয়।
বিক্ষোভ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, দুর্নীতি মানুষের সহ্যের সীমা ছাড়িয়েছে তাই বিক্ষোভ হচ্ছে।