বর্ষা সবেমাত্র শুরু হয়েছে। আর তারইমধ্যে পাহাড়ে ডেঙ্গু সংক্রমণ নিয়ে ভাঁজ পড়েছে স্বাস্থ্যকর্তাদের কপালে। দার্জিলিং পাহাড়ে ইতিমধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ জন। যা জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত আক্রান্তের হিসেবে গত ৫ বছরে সবচেয়ে বেশি। এর পাশাপাশি শিলিগুড়ি এবং কালিম্পংয়েও বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। শনিবার পাহাড়ের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে উদ্বেগ প্রকাশ করেন আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু রুখতে কড়া পদক্ষেপ, বাড়িতে জল জমে থাকলে মামলা করবে কেএমসি
পাহাড়ে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে শনিবার রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের অতিরিক্ত সচিব জলি চৌধুরী অন্যান্য আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন। জলি চৌধুরী জানান, গত পাঁচ বছরের মধ্যে এবার বেশি মানুষ দার্জিলিঙে আক্রান্ত হয়েছেন। যেহেতু জলের সমস্যা রয়েছে তাই এখানকার মানুষকে জল মজুত করে রাখতে হয়। তাই জল ভালো করে ঢেকে রাখতে বলা হয়েছে। কোনও জায়গায় যাতে জল জমে না থাকে, সে বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত দার্জিলিং পাহাড়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ১৮ জন, যা গত পাঁচ বছরে সবথেকে বেশি। গত বছর আক্রান্তের সংখ্যা ছিল দু'জন, ২০২১ সালে একজন, ২০১৯ সালে ৫ জন এবং ২০২০ সালে কোনও আক্রান্তের সংখ্যা মেলেনি। শুধু পাহাড়ে নয়, এই জেলাতেও ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা অন্যান্য বছরের থেকে বেশি বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। এ বছর এখনও পর্যন্ত সেখানে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ জন। সেক্ষেত্রে ৩৩ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন ইতিমধ্যেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দার্জিলিং জেলা হাসপাতালে একজন ভর্তি রয়েছেন।
দার্জিলিংয়ের পাশাপাশি শিলিগুড়ি এবং কালিম্পঙে ডেঙ্গু আক্রান্ত নিয়ে সতর্ক করেছে জেলা প্রশাসন। কালিম্পং জেলার শাসক আর বিমলা জানান, গত বছর এখানে ডেঙ্গি আক্রান্ত সবচেয়ে বেশি ছিল। তবে এই বছর কিছুটা কম রয়েছে। ডেঙ্গি নিয়ে রোধে কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, শনিবার শিলিগুড়িতে এক মহিলার শরীরে করোনা সংক্রমণ মিলেছে। স্বাস্থ্যকর্মীর দফতরের কর্মীরা ওই মহিলার বাড়ি গিয়ে জীবাণাসক স্প্রে করেন। যদিও স্থানীয়দের দাবি, ওই মহিলা বর্তমানে সেখানে থাকেন না। এরপরে ওই মহিলার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে শিলিগুড়ি পুরসভা। বৈঠকে কার্শিয়াং, দার্জিলিং, মিরিক, কালিম্পং পুর এলাকা নিয়ে আলোচনা হয়।