কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নির্দেশে গঙ্গারামপুরের নির্যাতিতা শিক্ষিকার সঙ্গে দেখা করলেন জেলা আইনি সহায়তা কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা। স্মৃতিকণাদেবীর সঙ্গে কথা বলে আদালতকে রিপোর্ট দেবেন তাঁরা। ইতিমধ্যে ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এখনো অধরা মূল অভিযুক্ত তৃণমূলি উপ-প্রধান।
গত শুক্রবার জমি দখলের প্রতবাদ করায় শাসক তৃণমূলের মধ্যযুগীয় নির্যাতনের মুখে পড়তে হয় গঙ্গারাপুরের নন্দনপুরের স্কুল শিক্ষিকা স্মৃতিকণা দাস ও তাঁর দিদি সোমা দাসকে। ২ জনকে পায়ে দড়ি দিয়ে বেঁধে টানতে টানতে একটি ঘরে ঢোকান তৃণমূলি উপ-প্রধান অমল সরকার ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা। মারধর করা হয় ২ মহিলাকে। রাস্তা তৈরির জন্য তাঁর ব্যক্তিগত জমি দখলের প্রতিবাদে ধরনায় বসেছিলেন এলাকায় বিজেপি কর্মী হিসাবে পরিচিত স্মৃতিকণাদেবী।
ঘটনায় সোমবার রিপোর্ট তলব করেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। জেলা আইনি সহায়তা কেন্দ্রের সদস্যদের রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেন তিনি। সেই নির্দেশ অনুসারে মঙ্গলবার স্মৃতিকণাদেবীর সঙ্গে দেখা করেন আইনি সহায়তা কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা।
ওদিকে এদিনই বিষয়টি রাষ্ট্রপতির সামনে উত্থাপন করেছে বিজেপি। মঙ্গলবার রাইসিনা হিলে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন বিজেপির ১৮ জন সাংসদ। সেখানে ছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। রাষ্ট্রপতিকে ঘটনার কথা উল্লেখ করে একটি চিঠি দেন তাঁরা।