হোমের একাধিক শিশু–কিশোর নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে। এই হোমের নাম কাজি নজরুল ইসলাম হোম। এখানে এমন ঘটনা ঘটায় পুলিশে পর্যন্ত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আর পুলিশ এই নিখোঁজ কাণ্ডের তদন্তে নেমেছে। কোথায় গেল এতগুলি শিশু–কিশোর? তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন হোম কর্তৃপক্ষ। শিশু–কিশোররা পালিয়ে গেল নাকি নেপথ্যে অপহরণ কাণ্ড সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, কাজি নজরুল ইসলাম হোমের ১১ জন শিশু ও কিশোর হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। রোজকার দিনের মতোই গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুপুরে তারা বহরমপুরের একটি স্কুলে ক্লাস করতে গিয়েছিল। কিন্তু স্কুল শেষ হওয়ার পর তারা হোমে ফিরে আসেনি। এরপর তখন বিকেল থেকেই তাদের খোঁজ শুরু করে হোমের সদস্যরা। কিন্তু কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে অবশেষে বৃহস্পতিবার রাতের দিকে বহরমপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে হোম কর্তৃপক্ষ।
তারপর ঠিক কী ঘটেছে? এই অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। আজ, শুক্রবার এলাকা তন্ন তন্ন করে খোঁজা হচ্ছে। যতরকম জায়গায় যাওয়ার সম্ভাবনা আছে সেখানে খোঁজখবর শুরু হয়েছে। এদিকে হোমের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি শিশু ও কিশোরদের খোঁজ পাওয়া যাবে বলেও মনে করছেন পুলিশ অফিসাররা। আগে কখনও এমন ঘটনা এখানে ঘটেনি। তাই এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আজ সকাল থেকে এখানে এই চর্চাই শুরু হয়েছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? অন্যদিকে হোম কর্তৃপক্ষ চিন্তায় পড়ে গিয়ে নানা জায়গায় টেলিফোন করেছেন। আর এই ঘটনায় হোমের সুপার বিপ্লব মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘বৃহস্পতিবার আমরা হোমের ১১ জন বালককে কৃষ্ণনাথ কলেজ স্কুলে নিয়ে যাই। তারপর স্কুল চলাকালীনই তাদেরকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। পুলিশকে পুরো বিষয়টি জানানো হয়েছে। আমরাও সব জায়গায় সন্ধান চালাচ্ছি। আশা করছি, ওরা বহরমপুরের বাইরে যায়নি।’ তবে এই হোমের উপর কারও শত্রুতা আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এখনও মুক্তিপণের কোনও ফোন এসে পৌঁছয়নি।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup