বীরভূমের নানুরে গণধর্ষণের অভিযোগের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য! একাদশ শ্রেণির সেই ছাত্রী গণধর্ষণের শিকারই হয়নি। বাবার বকুনির হাত থেকে বাঁচতেই সে গণধর্ষণে মিথ্যা গল্প ফেঁদেছিল। ছাত্রীর গণধর্ষণের অভিযোগের পরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। তবে পুরো বিষয়টি মিথ্যে জানার পর কার্যত হতবাক সকলে। গণধর্ষণের মতো একটি গুরুতর মিথ্যে অভিযোগ কীভাবে করতে পারলো ওই ছাত্রী তাই নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছেন অনেকেই।
আরও পড়ুন: দিঘায় নিয়ে গিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, ওড়িশা থেকে গ্রেফতার প্রধানশিক্ষক
নানুরের সাঁওতা গ্রামের বাসিন্দা ওই ছাত্রী। তার বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে মেলা বসেছিল। সেই মেলা দেখতে গত শনিবার বাড়ি থেকে স্কুটি নিয়ে বেরিয়েছিল সে। কিন্তু, সারারাত ছাত্রীটি বাড়ি ফেরেনি। মোবাইল ফোনও সুইচ অফ ছিল। রবিবার সকালে রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ি ফেরে। পরিবারের সদস্যদের সে জানিয়েছিল, বাড়ি ফেরার পথে চারজন যুবক তার পথ আটকায় এবং তাকে গণধর্ষণ করে। এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। থানাতেও অভিযোগ জানায় পরিবার।
যদিও বিষয়টি নিয়ে কীর্ণাহার মেলা কমিটির সম্পাদক ইয়াসিন রহমান খান দাবি করেছিলেন রাত ১০ টার পর মেলা বন্ধ হয়ে যায়। মেলার নাম বদনাম করা হচ্ছে। এরপর দুপুরে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে বয়ান দিতে গিয়ে প্রকাশ্যে আসে আসল ঘটনা। সেখানে কেঁদে ফেলে ছাত্রীটি জানায়, সে সারারাত বন্ধুর বাড়িতে ছিল। তার মাকেও সে এই কথা জানিয়েছিল। শুধু বাবার বকুনির হাত থেকে রেহাই পেতেই সে মিথ্যে গল্প ফেঁদেছিল। কোনও গণধর্ষণ হয়নি। নাবালিকার এই কীর্তিতে বিস্মিত সকলেই। নতুন করে শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য।