কলকাতায় প্রথম করোনা আক্রান্ত যুবকের মা – বাবার সংক্রমণ নেই বলে রিপোর্ট এলেও উৎকণ্ঠায় কৃষ্ণনগরের বেশ কিছু মানুষ। কারণ ওই করোনারোগীর বাবা পেশায় সরকারি চিকিৎসক। মঙ্গলবার করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে ছেলে যখন বেলেঘাটা আইডিতে ভর্তি তখনও কৃষ্ণনগরে রোগী দেখেন তিনি।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নদিয়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘ওই চিকিৎসকের সংস্পর্শে এসেছেন এমন ৮ জনকে চিহ্নিত করে কোয়ারেনটাইনে পাঠানো হবেছে।’ জানা গিয়েছে মঙ্গলবার কম-বেশি ১৫ জন রোগী দেখেছেন ওই চিকিৎসক।
গত ১৫ মার্চ রবিবার লন্ডন থেকে ফেরে ওই যুবক। তার পর তাঁর সঙ্গে গোটা রবিবার ও সোমবার কাটান চিকিৎসক বাবা। অভিযোগ, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই পড়ুয়াকে বারবার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি হতে বললেও কানে তোলেননি তিনি। মঙ্গলবার হাসপাতালে ভর্তি হতে কার্যত বাধ্য করা হয় তাঁকে।
ওদিকে তখনও কৃষ্ণনগরে রোগী দেখছিলেন আক্রান্ত যুবকের বাবা। করোনাআক্রান্ত ওই যুবকের মা নবান্নের উচ্চপদস্থ আমলা। এহেন পরিবারের কাণ্ডজ্ঞান নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নদিয়া জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, চিকিৎসকের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছিলেন। বুধবার তাঁদের চিহ্নিত করে প্রথমে শক্তিনগর হাসপাতালে আনা হয়। সেখান থেকে পাঠানো হয় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে।