বাঁধ মেরামতির কাজের দখলদারিকে কেন্দ্র করে ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল। এক পঞ্চায়েত সদস্যকে মারধরে অভিযোগ উঠল দলের বুথ সভাপতির বিরুদ্ধে। পাল্টা মারধরের অভিযোগ করছেন তৃণমূলের বুথ সভাপতিও। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের আজবনগরে।
আজবনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের পান্না পূর্ব বুথের পঞ্চায়েত সদস্য মণ্টু ধাড়ার অভিযোগ, তাঁর এলাকায় সেচ দফতরের উদ্যোগে একটি বাঁধ মেরামতির কাজ ছিল। সেই কাজ দেখতে যান সেচ দফতরের ঠিকাদাররা। সেই সময় সেখানে হাজির হন, তৃণমূলের বুথ সভাপতি দীপঙ্কর খাঁড়া ও সহ-সভাপতি শক্তিপদ খাঁড়ার লোকজনেরা। শুরু হয় দু'পক্ষের মধ্যে বচসা। অভিযোগ, বচসা থেকে দুপক্ষের মধ্যে মারপিটও শুরু হয়।
মণ্টু ধারা বলেন, 'একলায় সেচ দফতরের কাজ হবে বলে ঠিকাদাররা দেখতে এসেছিলেন কোথায় কী ভাবে কাজ হবে। সেই সময় হঠাৎ হাজির হন দীপঙ্কর ও শক্তিপদ খাড়া। ওরা এসে বলে কাজটা আমরা করব।' তাঁকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন মণ্টু ধারা। তিনি থানায় অভিযোগও দায়ের করেন।
অন্য দিক দীপঙ্কর খাঁড়া বলেন, ''গত ২ জানুয়ারি আমাদের বুথে সংসদ সভা ছিল। মণ্টু ধারা সেই সভাকে কেন্দ্র করে প্রধানের বিরুদ্ধে পোস্টার দেয়। সংসদ সভা বন্ধ হয়ে যায়। শুক্রবার এক ঠিকাদার আমাকে ফোনে জানান নদী ভাঙনের কাজ হচ্ছে দেখে যেতে। আমি যেতেই আমার উপর চড়াও হয়ে মণ্টু। বলে সংসদ সভা করতে দিইনি, এখানে এসে আমাদের ঠিকাদারের সঙ্গে কথা বলছিস। এরপর আমাকে মারধর করতে শুরু করে। চশমা ভেঙে যায়।' মারের চোটে বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি দীপঙ্কর।
এই ঘটনাকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট। তিনি বলেন,' নিজেদের মধ্যে দলাদলীর জেরেই এই সব ঘটনা হচ্ছে। আর খালি বিজেপির ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তৃণমূল চোখ বন্ধ করলেই তো বিজেপি দেখে। ভয় পায়। '