এবার একেবারে অন্যরকম রূপে দেখা গেল বিশ্বকর্মাকে। রয়েছে পাঁচটি মাথা এবং দশটি হাত। যার বাহন হল হাঁস। আর একপাশে শুঁড় উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে হাতি। বিশ্বকর্মার নতুন রূপ দেখা গেল সিউড়ির দমকল দফতরে। এই বিশ্বকর্মা পুজোয় হল এবারের সিউড়ির অন্যতম আকর্ষণ। যদিও কোনও থিমের কারণে বিশ্বকর্মাকে এরকম রূপ দেওয়া হয়নি। মূলত জ্ঞানের প্রতীক হিসাবেই আজ সেখান বিশ্বকর্মা পুজো করা হচ্ছে সেখানে।
আরও পড়ুন: বিশ্বকর্মা পূজার দিন ব্যবসায় উন্নতির জন্য করুন এই ৫টি কাজ
নতুন রূপের বিশ্বকর্মা ঠাকুরকে দেখে এদিন ভির জমে দমকল দফতরে। সাধারণত এই রূপে বিশ্বকর্মাকে দেখা যায় না। তবে শাস্ত্রে বিশ্বকর্মার নানান রূপের মধ্যে এই রূপের বর্ণনা রয়েছে। আধিকারিকরা জানান, বিশ্বকর্মার নানা মুখে বর্ণনা দেওয়া রয়েছে। মুখগুলি হলো সদ্যোজাত, অঘোর, বামদেব, তৎপুরুষ ও ঈশান। এই পাঁচ মুখ থেকেই পাঁচ শিল্পীর জন্ম হয়েছিল।
এ প্রসঙ্গে দমকল দফতরের এক আধিকারিক জানান, স্বামী নির্মলানন্দের বই থেকেই এই রূপ দেওয়া হয়েছে বিশ্বকর্মাকে। তাঁর বইয়ে বিশ্বকর্মার চার হাতের কথা বলা রয়েছে। যার হাতে রয়েছে ছেনি, হাতুড়ি প্রভৃতি। এগুলি হল শিল্পের প্রতীক। প্রসঙ্গত শুধু সিউড়ির দমকল দফতরে নয়, বাংলার ১৩৫১ সাল থেকে পাঁচ মুখের বিশ্বকর্মার পুজো হয়ে আসছে সিউড়ি সংলগ্ন গ্রামের রামরতন শর্মার বাড়িতে।
শিল্পী শ্যামল শর্মা দমকল দফতরের এই মূর্তি নির্মাণ করেছেন। উল্লেখ্য, গত দু’বছর লকডাউন জেরে শিল্প সংস্থাগুলিতে আর্থিক মন্দা চলছিল। বহু শ্রমিক কর্মসংস্থান হারিয়েছিলেন। গত বছরে একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগে কার্যত নমো নমো করে পুজো সারতে হয়েছিল উদ্যোক্তাদের। কিন্তু, এ বছর করোনা এবং দুর্যোগের জোড়া ফলা আর নেই। তাই আগের মতোই ধুমধাম করে পূজিত হচ্ছেন বিশ্বকর্মা।