বাংলার সরকারের নামে অমিত শাহের কাছে নালিশ করলেও আসলে প্রদীপ নীচের অন্ধকারটি নিয়ে কোনও তথ্য দেননি সুকান্ত–শুভেন্দুরা। তাই অমিত শাহ চলে যেতেই ফের বিজেপিতে ভাঙন দেখা গেল। উত্তরবঙ্গ জুড়ে বিজেপি ভাঙছে। যা কিনা তাদের গড় বলে কথা। সেখানে কোথাও নেতৃত্ব, কোথাও জনপ্রতিনিধিদের হাত ধরে রোজই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন বিজেপি কর্মী–সমর্থকরা।
ঠিক কী ঘটেছে উত্তরবঙ্গে? বাংলায় সফরে এসে অমিত শাহ উত্তরবঙ্গের নেতাকর্মীদের ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন। আর শনিবার রাতে একসঙ্গে ৪০টি বিজেপি পরিবারের সদস্যরা যোগদান করলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। ধূপগুড়ি ব্লকের গধেয়ারকুঠি গ্ৰাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ ঝাড় আলতাগ্ৰামে এই যোগদান হয়। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন জলপাইগুড়ি জেলার অন্তর্গত ধূপগুড়ি গ্ৰামীণ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কমল রঞ্জন সরকার।
এই যোগদান নিয়ে বিজেপি বেশ চাপে পড়ে গিয়েছে। তবে বিজেপির পক্ষ থেকে জোরালো কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। এই যোগদান পর্বে উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদক রাজেশ সিং, ধূপগুড়ি গ্ৰামীণ ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি মলয় কুমার রায়, ধূপগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীনেশ মজুমদার, অঞ্চল সভাপতি তক্ষমোহন রায়, স্থানীয় গ্ৰাম পঞ্চায়েত প্রধান নারায়ণ রায়–সহ অনেকে।
ঠিক কী বলেছেন যোগদানকারীরা? তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানকারীরা বলেন, ‘এখানকার সাংসদ এবং বিধায়ক বিজেপির। কিন্তু তাদের জেতার পর আর দেখা পাওয়া গেল না। তাহলে তারা কিভাবে তাদের প্রতিশ্রুতি পালন করবেন। সেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যজুড়ে একের পর এক উন্নয়নের জোয়ার বয়ে চলেছে। তাই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান।’