গঙ্গারামপুরে শিক্ষিকার ওপর নির্যাতনে অভিযুক্ত তৃণমূলি পঞ্চায়েত উপ-প্রধান অমল সরকারকে গ্রেফতার করল পুলিশ। গত ৩১ ডিসেম্বর গঙ্গারামপুরের নন্দনপুরের বাসিন্দা এক শিক্ষিকার ওপর নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। রাস্তা তৈরির জন্য তাঁর জমি দখল করেছে পঞ্চায়েত, এই অভিযোগে ধরনায় বসেছিলেন ওই শিক্ষিকা। তখনই তাঁকে তুলতে নির্যাতন চালায় অমল ও তার দলবল।
নির্যাতিতা জানিয়েছেন, পঞ্চায়েতের উদ্যোগে তাঁর বাড়ির সামনে দিয়ে চওড়া রাস্তা তৈরির কাজ চলছিল। নন্দনপুর থেকে হাপুনিয়া পর্যন্ত ওই রাস্তার একাংশ তাঁর ব্যক্তিগত জমির ওপর দিয়ে গিয়েছে। কিন্তু সেজন্য ক্ষতিপূরণের কোনও ব্যবস্থা করেনি পঞ্চায়েত। এমনকী তাঁর সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনায় বসতেও রাজি নন নন্দনপুর পঞ্চায়েতের প্রধান।
এর প্রতিবাদে গত শুক্রবার রাস্তার পাশেই ধরনায় বসেন স্মৃতিকণাদেবী ও তাঁর দিদি। অভিযোগ, ধরনা তুলতে দলবল নিয়ে হানা দেন নন্দনপুর পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান অমল সরকার। অভিযোগ স্মৃতিকণা দেবীকে মারধর করার পাশাপাশি তাঁর পায়ে দড়ি বেঁধে টানতে টানতে একটি ঘরে ঢুকিয়ে দেয় ওই দুষ্কৃতীরা। একই রকম নির্যাতন করা হয় তাঁর দিদিকেও।
স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়ে থানায় ৫ জনের নামে নির্যাতনের অভিযোগ করেন স্মৃতিকণা দেবী। তাতে মূল অভিযুক্ত এই অমল সরকার।
ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তে শোরগোল পড়ে। পরের দিনই অমল সরকারকে দল থেকে সাসপেন্ড করে তৃণমূল। ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হবে বলে জানান জেলা তৃণমূল নেত্রী অর্পিতা ঘোষ।
গত সোমবার বিষয়টি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সামনে উত্থান করেন এক আইনজীবী। এর পরই এবিষয়ে তদন্ত করে জেলা আইনি সহায়তা কমিটিকে রিপোর্ট দিতে বলেন প্রধান বিচারপতি। নিরাপত্তার অভাবের কথা জানানোয় স্মৃতিকণা দেবীর বাড়ির সামনে সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করেছে পুলিশ।
পুলিশের দাবি, গ্রেফতারি এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন অমল সরকার। শেষ পর্যন্ত তাঁর হদিশ পায় পুলিশ।