দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটল পাঁশকুড়ায়। এখানের একটি বাড়ির দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে আড়াই বছরের শিশুকন্যার। আর আহত হয়েছে তিনজন শিশুও। এই ঘটনায় রীতিমতো শোকের ছায়া নেমে এসেছে পাঁশকুড়ার গড়পুরুষোত্তমপুরে। আহত অবস্থায় শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঠিক কী ঘটেছে পাঁশকুড়ায়? স্থানীয় সূত্রে খবর, পাঁশকুড়ার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের গড়পুরুষোত্তমপুরে দেওয়াল চাপা পনে এক শিশুকন্যার মৃত্যু হয়েছে। মৃত শিশুকন্যার নাম জারা খাতুন। এই শিশুটির বাবা শেখ জাহাঙ্গীর বেঙ্গালুরুতে শ্রমিকের কাজ করেন। আর এই গ্রামের বাড়িতে থাকেন জাহাঙ্গীরের স্ত্রী, চার শিশু সন্তান, মা, ভাই এবং বোন। এখানে আগে ইটের দেওয়াল এবং অ্যাসবেস্টসের চাল দেওয়া একটি বাড়িতে থাকত জাহাঙ্গীরের পরিবার। তাই নতুন বাড়ি তৈরি করা হচ্ছিল। কিন্তু সেটি সম্পূর্ণ না হওয়ায় পুরনো বাড়িতেই থাকছিলেন তাঁরা। সেখানেই দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয় শিশুকন্যার।
তারপর ঠিক কী ঘটল? এই পুরনো বাড়িতে বসেই খেলছিল জাহাঙ্গীরের দুই মেয়ে এবং দুই ভাইপো ভাইঝি। হঠাৎ বাড়িটির মেঝে বসে যায়। আর বাড়ির দুটি দেওয়াল ভেঙে পড়ে। যার নীচে চাপা পড়ে যায় শিশুরা। স্থানীয় বাসিন্দারা থুটে এসে শিশুগুলিকে উদ্ধার করেন। আর জাহাঙ্গীরের মেয়ে জারাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তমলুক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসারা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আর কী জানা যাচ্ছে? আহত আরও তিনটি শিশুকে পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে জাহাঙ্গীরের আর এক মেয়ের অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। জাহাঙ্গীরের ভাইপো ভাইঝির মধ্যে একজনের আঘাত গুরুতর নয়। মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে বেঙ্গালুরু থেকে পাঁশকুড়ার বাড়িতে আসতে রওনা দিয়েছেন জাহাঙ্গীর। এখানে হাজির হন পাঁশকুড়ার পুর প্রশাসক নন্দকুমার মিশ্র এবং উপ পুর প্রশাসক সইদুল ইসলাম খান। তাঁরা দুর্ঘটনাগ্রস্ত পরিবারটির পাশে রয়েছেন।