আজ, শনিবার বিমল গুরুং পাহাড় থেকে নয়াদিল্লি সফরে যাচ্ছেন। এই সফর নিয়ে জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে। হঠাৎ কেন নয়াদিল্লির পথে পা বাড়ালেন বিমল? তাহলে কী আবার গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে যোগ? যদিও বিমল গুরুং সব গুঞ্জন খারিজ করে দিয়েছেন। এদিন তিনি বাগডোগরা বিমানবন্দরে এসে নয়াদিল্লি সফরের কথা জানান গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুং।
ঠিক কী বলেছেন বিমল গুরুং? এদিন বিমানবন্দরে পৌঁছে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে নয়াদিল্লি যাচ্ছি না। সামাজিক কাজে নয়াদিল্লি যাচ্ছি। সেখানে তালকাটরা স্টেডিয়ামে একটি সামাজিক কর্মসূচি রয়েছে। সেই সামাজিক অনুষ্ঠানের কার্ড বিতরণ করতে হবে। এছাড়া আরও কয়েকটি সামাজিক অনুষ্ঠান সেখানে রয়েছে’।
উল্লেখ্য, একসময়ে পাহাড়ে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন বিমল গুরুং৷ পাহাড় ছিল বিমল গুরুংয়ের খাসতালুক। কিন্তু ২০১৭ সালে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে গিয়ে পাহাড়ে আগুন জ্বালান তিনি। খুন, দেশদ্রোহিতা থেকে শুরু করে একাধিক জামিনঅযোগ্য ধারায় মামলা করা হয় বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে। তারপর টানা সাড়ে তিন বছর বিজেপির সঙ্গে থেকেও পাহাড়ে ফিরতে পারেননি বিমল। অবশেষে একুশের নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করে পাহাড় প্রত্যাবর্তন করেন বিমল গুরুং।
বিজেপি নেতাদের সঙ্গে কী দেখা করবেন বিমল গুরুং? এই প্রশ্ন করতেই তিনি সরাসরি বলেন, ‘না। এমন কোনও কর্মসূচি নেই।’ মুখে এই কথা বললেও পাহাড়ে এখন কার্যত কোণঠাসা বিমল গুরুং। সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে দেখা করতেই পারেন। কারণ তাঁর অনশনের সময় সমর্থন করেন বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্ত। তাই একটা রাস্তা তৈরি হয়েই রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির সঙ্গে ফের গাঁটছড়া বেঁধে পাহাড়ে নিজের হারানো মাটি ফিরে পাবার চেষ্টা করতেই নয়াদিল্লি গিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।