বর্ষা আসতেই রাজ্যে ফের ডেঙ্গুর আক্রান্তের খবর আসতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় উদ্যোগ নিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। ডেঙ্গু আক্রান্তের চিকিৎসায় প্লেটলেট খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। সেই প্লেটলেটের চাহিদা বজায় রাখার জন্য গাইডলাইন জারি করল রাজ্য সরকার।
রাজ্য সরকারের গাইডলাইন অনুযায়ী প্লেটলেট কাউন্ট যদি ১০ হাজারের নিচে যায় তবেই তাকে প্লেটলেট দিতে হবে। প্লেটলেট কাউন্ট যদি ১০ থেকে ২০ হাজারের মধ্যে থাকে, রোগীর যদি রক্তপাত হয় তবেই রোগীকে প্লেটলেট দেওয়া যাবে। ডেঙ্গু আক্রান্তের যদি প্লেটলেটের প্রয়োজন হয় তবে তা কোনও গ্রুপের প্লেটলেট তা প্রেসক্রিপশনে উল্লেখ করতে হবে।
রাজ্যের ২৭টি জেলা ও স্বাস্থ্য জেলাতে প্লেটলেটের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া ৫৭টি সরকারি ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে প্লেটলেট সরবরাহের ব্যবস্থা রাখছে স্বাস্থ্য দফতর।
(পড়ুন। ওপার বাংলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একদিনে হাসপাতালে ২২৯২ জন! মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭৬)
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী গত বছর বাংলায় ৬৭ হাজার ২৭১জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হন। সরকারি হিসাব অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা ছিল ৩০ জন। তবে বেসরকারি হিসাব বলছে সংখ্যাটা শতাধিক।
বর্ষা নামার সঙ্গে সঙ্গেই ডেঙ্গু নিয়ে পুরসভাগুলিকে সতর্ক করে দিয়েছে নবান্ন। কোথায় কোনও জমা জল আছে কিনা তা জানার জন্য বাড়ি সমীক্ষা করা হচ্ছে পুরসভার পক্ষ থেকে। নগরবাসীকে সতর্ক করতে প্রচারও শুরু হয়েছে গিয়েছে।
এদিকে ডেঙ্গুর প্রকোপে জর্জরিত প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ। সেদেশে তড়তড়িয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। মশার কামড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভরতি হয়েছেন ২ হাজার ২৯২ জন। এর মধ্যে শুধুমাত্র ঢাকার হাসপাতালগুলিতেই ভরতি হয়েছেন ১ হাজার ৬৪ জন। ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ভরতি হয়েছেন আরও ১ হাজার ২২৮ জন। বাংলাদেশি সংবাদপত্র 'প্রথম আলো'র রিপোর্ট অনুযায়ী, এবছর সেদেশে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১৭৬ জন। শুধুমাত্র জুলাই মাসেই মৃত্যু হয়েছে ১২৯ জনের। এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সেদেশে ৯ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৮ জন ঢাকার বাসিন্দা ও একজন ঢাকার বাইরের।