ফের বোমাবাজিতে তপ্ত হয়ে উঠল বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের খাসতালুক ভাটপাড়া। আর তার জেরে প্রাণ গেল এক বিজেপি কর্মীর বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম হয়েছেন তাঁর মা–ও। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কার্যত অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে এলাকা। এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান সাংসদ অর্জুন সিং। মৃতের নাম জয়প্রকাশ যাদব। তিনি সক্রিয় বিজেপি কর্মী ছিলেন বলে দাবি করেছেন বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে। যদিও এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা পার্থ ভৌমিক জানান, ওই ব্যক্তি রাজনীতি করতেন না।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবাসরীয় দুপুরে মুক্তারপুর শ্মশানঘাট এলাকায় জয়প্রকাশকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা এলোপাথাড়ি বোমাবাজি করে বলে অভিযোগ। বোমার আঘাতে যুবকের মাথার খুলি উড়ে যায় বলেও অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার সময় যুবকের সঙ্গেই ছিলেন তাঁর মা। আশঙ্কাজনক তিনিও। স্থানীয়রা বাসিন্দারাই তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যায় হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকরা জয়প্রকাশকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁর মা এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।
এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় তুলেছেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। তাঁর কথায়, ‘রাজ্যের কী হাল হয়েছে দেখুন। প্রকাশ্য দিবালোকে তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডারা বোমা মেরে উড়িয়ে দিয়েছে এক যুবককে। গুন্ডাদের জন্য লকডাউন নেই। ছিনতাই করবে, ডাকাতি করবে। এখানে মানুষ আর বাঁচতে পারবে না। খুন করে বেরাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডারা। টুনটুন, চন্দন সিং এবং লালন সিং নামে তিনজন মাথায় বোমা মেরেছে। খুনের জন্যই মাথায় বোমাবাজি।’
অর্জুন সিংয়ের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস বারাকপুরে জিতেছে, ওখানে কিছু হয়নি। অথচ ভাটপাড়ায় বিজেপি জিতেছে আর ওখানে রোজ অশান্তি হচ্ছে। তবে অর্জুন সিংয়ের মস্তানি বেশিদিন চলবে না। জয়প্রকাশ যাদব কোনও দল করতেন না। তাঁকে বোমা মারতে গিয়ে হাত উড়ে গিয়েছে বিজেপি কর্মীর। বিয়েবাড়িতে বোম মেরেছে অর্জুনের দলবল। এই গুন্ডামি ভাটপাড়ায় মানব না। অর্জুন সিং চর্তুদিকে বোমা মেরে বেড়াচ্ছে।’