বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে জেলা সফর শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার ২৯ নভেম্বর, মঙ্গলবার, বসিরহাট মহাকুমার প্রত্যন্ত সুন্দরবন এলাকায় হিঙ্গলগঞ্জের কালীতলা পঞ্চায়েত সংলগ্ন মাঠে প্রশাসনিক সভা করতে আসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুন্দরবন এলাকায় একেবারে খোলা মাঠে এই প্রশাসনিক সভা করবেন তিনি। এই সভা জনসভায় পরিণত হতে পারে বলে মনে করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা।
ঠিক কী জানা গিয়েছে? কয়েকদিন আগে কৃষ্ণনগর সফরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই রাজ্যে নতুন দু’টি জেলা তৈরির কথা জানিয়েছিলেন। এই দুটি জেলার নাম সুন্দরবন এবং বসিরহাট। উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১৯টি ব্লক রয়েছে সুন্দরবনে। যার মধ্যে ১৩টি ব্লক দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। আর ওই ১৩টি ব্লক নিয়ে সুন্দরবন জেলা হবে। অন্যদিকে উত্তর ২৪ পরগনায় বাকি যে ছ’টি ব্লক থাকছে, সেগুলি নিয়ে তৈরি করার কথা বসিরহাট জেলার। মুখ্যমন্ত্রীর সভার বিষয়ে হিঙ্গলগঞ্জের বিধায়ক দেবেশ মণ্ডল বলেন, ‘খোলা মাঠে মুখ্যমন্ত্রীর এই সভা জনসভায় পরিণত হতে চলেছে।’
কেমন প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে? এই সভার প্রস্তুতি নিয়ে এখন তৎপর প্রশাসনিক আধিকারিকরা। মুখমন্ত্রী আকাশপথে কালীতলার সভায় আসবেন। তাই তারই একদফা মহড়া হয়ে গেল। কালীতলা ও টাকির মাঠে হেলিকপ্টার নামা–ওঠার ট্রায়াল রান করা হয়েছে। কারণ কালীতলা মাঠের সভা সেরে মুখ্যমন্ত্রী চলে যাবেন টাকিতে। টাকিতেই রাত্রিবাস করবেন মুখ্যমন্ত্রী। তার জন্য জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে টাকিতেও। রাস্তা মেরামত থেকে শুরু করে ইছামতী নদীর পাড়ও সাজিয়ে তোলা হচ্ছে নতুনভাবে। এই বিষয়ে বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর আসাকে কেন্দ্র করে এই পর্যটন কেন্দ্রের প্রচারও বাড়বে।’ গোটা এলাকা আঁটোসাঁটো নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হচ্ছে।
ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? তাঁর জেলা সফর নিয়ে দু’দিন আগে বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মঙ্গলবার আমি হিঙ্গলগঞ্জে বৃক্ষ পুজো করব। প্রকৃতি পুজো করব। সুন্দরবনের ব্যাপারে মাস্টারপ্ল্যান করে আমরা নীতি আয়োগে জমা দিয়েছি। প্রত্যেক বছর এখানে সাইক্লোন, বন্যা হয়। মাস্টারপ্ল্যান হলে সমস্যা মিটবে। আমি বনমন্ত্রীকে বলব, সিরিয়াস হয়ে বিষয়টি দেখতে।’