২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে গরুমারার জঙ্গলে চোরাশিকারীদের খপ্পরে পড়েছিল দুটি গণ্ডার। ২০১৮ সালের ২৫শে ডিসেম্বর ফের একটি গন্ডার হত্য়া করে তার খড়্গ নিয়ে চম্পট দিয়েছিল চোরাশিকারীরা। এরপর নড়েচড়ে বসে বনদফতর। জঙ্গলের বিভিন্ন কোর এরিয়াতেও টহলদারি বাড়িয়ে দেওয়া হয়। কুনকি হাতি, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরকে দিয়েও বিভিন্ন এলাকায় নজরদারি চলে। এর মধ্য়েই দিন কয়েক আগে জঙ্গলের মধ্য়ে টহলদারির সময় বেশ কিছুটা দূর থেকে তিনজন সন্দেহভাজনকে দেখতে পান বনকর্মীরা। পরে তারা জঙ্গলের আড়ালে লুকিয়ে পড়ে। এরপরই জঙ্গলের কোর এরিয়া সহ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু হয়ে গিয়েছে।
বনদফতরের ধারনা, চোরা শিকারীরা জঙ্গলের মধ্য়ে ঢুকে পড়েছে। এরা জন্তু শিকার করে দেহাবশেষ পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে। সেকারনে আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না বনদফতর। এরপর থেকেই জলপাইগুড়ির গরুমারা অভয়ারণ্যে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এসএসবি ও পুলিশেরও সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। স্নিফার ডগ ও কুনকি হাতি দিয়েও চলছে তল্লাশি। জঙ্গল সংলগ্ন রাস্তাগুলিতেও নাকা তল্লাশি শুরু হয়েছে। গরুমারার জঙ্গলের শেষ প্রান্তে জলঢাকা নদীর জিরো বাঁধ ও রামশাই জলঢাকার চর এলাকায় চলছে নজরদারি। এই পথটাই সাধারণত করিডর হিসাবে ব্যবহার করে পাচারকারীরা। বিভিন্ন শ্রমিক মহল্লা, চা বাগানে, রিসর্টেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বনদফতর জানিয়েছে, এমনিতেই গরুমারায় নজরদারি থাকে। তবে আরও নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।