বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Hookah Bar: এবার শিলিগুড়িতে বন্ধ হতে চলেছে হুক্কা বার, নেপথ্যে কোন কারণ রয়েছে?‌

Hookah Bar: এবার শিলিগুড়িতে বন্ধ হতে চলেছে হুক্কা বার, নেপথ্যে কোন কারণ রয়েছে?‌

হুক্কা বার।

শিলিগুড়ির সেবক রোড, মাটিগাড়ায় থাকা পাবগুলিতে হুক্কা বার গড়ে উঠেছে। এমনকী বহু রেস্তোরাঁতেও হুক্কা বারের লাইসেন্স রয়েছে। এই হুক্কাবারে তরুণ প্রজন্মের ভিড় বাড়ছে। কয়েক বছর আগে অভিযোগ পেয়ে একটি হুক্কা বারে অভিযান চালিয়েছিল ভক্তিনগর থানা। হুক্কা বারের কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়।

সম্প্রতি কলকাতায় হুক্কা বার বন্ধের পথে হেঁটেছে কলকাতা পুরসভা। সেটা দেখার পর একই পথে হেঁটেছে বিধাননগরও। এবার সেই পথেই হাঁটতে চলেছে শিলিগুড়িও। এক সপ্তাহ আগেই কলকাতা এবং পরে সল্টলেকে বন্ধ হয়ে যায় হুক্কাবার। এবার ফিরহাদ হাকিমের কথায় সম্মতি দিয়ে শিলিগুড়িতেও হুক্কা বার বন্ধ করতে চলেছেন মেয়র গৌতম দেব। সূত্রের খবর, শিলিগুড়িতে এবার খুব শীঘ্রই হুক্কা বারগুলির লাইসেন্স বাতিল হতে পারে।

ঠিক কী বলেছেন শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র?‌ শিলিগুড়ি শহরে কয়েক বছর ধরে এই হুক্কা বারের উৎপত্তি হয়েছে। এগুলির মধ্যে কিছু হুক্কা বারের লাইসেন্স রয়েছে। আবার কিছু হুক্কা বারের লাইসেন্স নেই। এই হুক্কা বারের আড়ালে মাদক বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। কলকাতার হুক্কা বারগুলি বন্ধের পথে হাঁটার পর বিষয়টি নজরে আসে শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবের। তিনি বলেন, ‘‌কলকাতা থেকে বিষয়টি খোঁজ নেব। সেখানে যদি হুক্কা বার বন্ধ হয় তবে শিলিগুড়িতেও হুক্কা বার বন্ধ করা হবে। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলব।’‌

কেন কলকাতায় বন্ধ হল?‌ গত শুক্রবার কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‌কলকাতায় অবিলম্বে হুক্কা বার বন্ধ করার অনুরোধ করছি। এটা খুব খারাপ বিষয়। হুক্কা বারের এই ধোঁয়া মারাত্মক ক্ষতিকর। এতে যুবসমাজের ক্ষতি হচ্ছে। নেশার জন্য তরুণ প্রজন্ম বারবার হুক্কা বারের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। এই নেশার দ্রব্য এখন এমন বড় ব্যবসা হয়ে দাঁড়িয়েছে যে মানুষের ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। তাই হুক্কা বারকে আর লাইসেন্স দেবে না পুরসভা।’‌

শিলিগুড়ির ক্ষেত্রে পরিস্থিতি কী?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, শিলিগুড়ির সেবক রোড, মাটিগাড়ায় থাকা পাবগুলিতে হুক্কা বার গড়ে উঠেছে। এমনকী বহু রেস্তোরাঁতেও হুক্কা বারের লাইসেন্স রয়েছে। এই হুক্কাবারে তরুণ প্রজন্মের ভিড় বাড়ছে। কয়েক বছর আগে অভিযোগ পেয়ে একটি হুক্কা বারে অভিযান চালিয়েছিল ভক্তিনগর থানা। হুক্কা বারের কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় হুক্কা পট ও হুক্কায় ব্যবহৃত সমস্ত সামগ্রী৷ এবার মেয়র গৌতম দেবও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ফলে মনে করা হচ্ছে শীঘ্রই শিলিগুড়িতেও বন্ধ হতে চলেছে হুক্কা বার।

বন্ধ করুন