বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Jalpaiguri: শ্বশুরবাড়িতে ৫ দিন ঘরবন্দি গৃহবধূ, প্রতিবেশীর তৎপরতায় উদ্ধার

Jalpaiguri: শ্বশুরবাড়িতে ৫ দিন ঘরবন্দি গৃহবধূ, প্রতিবেশীর তৎপরতায় উদ্ধার

উদ্ধার গৃহবধূ। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য হিন্দুস্তান টাইমস)

প্রায় পাঁচ দিন ধরে ঘরে বন্দি থাকার পর নিজের প্রাণ সংসারের কথা জানিয়ে একটি চিরকুট লেখেন ওই গৃহবধূ। তাতে লেখা ছিল, ‘আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমার মাকে খবর দিন।’ তাতে দুটি ফোন নম্বরও দেওয়া ছিল। এক প্রতিবেশী সেই চিরকুটটি পান। এরপরেই তিনি ওই দুটি নম্বরে যোগাযোগ করেন।

দ্বিতীয় বিয়ে করতে চাইছে স্বামী। তারই প্রতিবাদ করেছিলেন স্ত্রী। এরজেরে পাঁচ দিনেরও বেশি সময় ধরে ওই গৃহবধূকে ঘরে বন্দি করে রাখল শ্বশুর বাড়ির লোকজন। ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল মোবাইল ফোনটিও। এমন অবস্থায় প্রাণ সংশয় করে একটি চিরকুট লিখেছিলেন ওই গৃহবধূ। অবশেষে সেই চিরকুট পেয়ে প্রতিবেশীর তৎপরতায় উদ্ধার হল ওই গৃহবধূ। ঘটনাটি জলপাইগুড়ির তেলিপাড়ার। এই ঘটনার পরেই স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই গৃহবধূ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিনোদ কুমার শাহের সঙ্গে রায়গঞ্জের বাসিন্দা সুমিত্রা সরকারের ফেসবুকে পরিচয় হয়েছিল। এরপরে তাদের বিয়ে হয় পাঁচ বছর আগে, তাদের একটি সন্তানও রয়েছে। স্বামীর কাজের সূত্রে প্রথমে তিনি পুনেতে ছিলেন। বর্তমানে জলপাইগুড়ি তেলিপাড়ায় রয়েছেন। তবে এখানে আসার পরেই তার উপর অত্যাচার শুরু হয়। স্বামী থেকে শুরু করে শ্বশুরবাড়ির অন্য সদস্যরা তার উপর অত্যাচার চালাতে শুরু করে বলে অভিযোগ। এরই মধ্যে তার স্বামী দ্বিতীয় বিয়ের ইচ্ছে প্রকাশ করে। তারপরে ঝামেলার সূত্রপাত হয়। এর প্রতিবাদ করায় সুমিত্রাকে মারধর করে তার স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। এরপরে তাকে একটি ঘরে বন্দি করে রাখে।

প্রায় পাঁচ দিন ধরে ঘরে বন্দি থাকার পর নিজের প্রাণ সংসারের কথা জানিয়ে একটি চিরকুট লেখেন ওই গৃহবধূ। তাতে লেখা ছিল, ‘আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমার মাকে খবর দিন।’ তাতে দুটি ফোন নম্বরও দেওয়া ছিল। এক প্রতিবেশী সেই চিরকুটটি পান। এরপরেই তিনি ওই দুটি নম্বরে যোগাযোগ করেন। এরপর সেখানে সুমিত্রার বাবা-মা চলে আসেন। তারপরে তারা মেয়েকে উদ্ধার করেন। ঘটনায় বানারহাট থানার বিন্নাগুড়ি ফাঁড়িতে স্বামী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ওই গৃহবধূ। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

বন্ধ করুন