বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলের চিকিৎসার দৌলতে রাজ্য–রাজনীতিতে উঠে এসেছিল অণ্ডকোষ! এবার সেই একই বিষয় উঠে এল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ডেরায়৷ পূর্ব মেদিনীপুরে পারিবারিক ঝামেলার জেরে যা গৃহবধূর আক্রমণে নিজের অণ্ডকোষ খোয়ালেন শ্বশুর৷ এই ঘটনায় রীতিমতো আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। গুরুতর জখম ওই বৃদ্ধ শ্বশুরের চিকিৎসা চলছে স্থানীয় হাসপাতালে৷ অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই গৃহবধূকে গ্রেফতার করেছে৷ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়নার নারকেলদাহা গ্রামের এই ঘটনা এখন সাড়া ফেলে দিয়েছে গোটা গ্রামে।
ঠিক কী ঘটেছে ময়নায়? স্থানীয় সূত্রে খবর, এই গৃহবধূর বাপের বাড়িতে মাংস রান্না হয়েছে খবর পেয়ে সেখানে যেতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাতে আপত্তি তোলে শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। সেখান থেকেই ঝামেলার শুরু। তখন গৃহবধূকে শান্ত করতে তাঁর স্বামী বাজারে যান মাংস আনতে। এই অবস্থায় শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের সঙ্গে বচসা বাধে। তখনই সেখানে মেজাজ দেখান শ্বশুর। আর রেগে গিয়ে তাঁর অণ্ডকোষ ছিঁনে নেন গৃহবধূ।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত গৃহবধূর নাম শিখা হাইত। ময়নার নারকেলদোহা গ্রামের গৃহবধূ। তাঁর বাপের বাড়ি বাকচা গ্রামে৷ দুই গ্রামের মধ্যে দূরত্ব নামমাত্র। শনিবার বাপের বাড়িতে মাংস রান্না হচ্ছে শুনে যাওয়ার জেদ ধরেন ওই গৃহবধূ৷ আর তা থেকেই গোলমালের সূত্রপাত হয়। গৃহবধূর স্বামী তাঁকে শান্ত করতে বাজারে মাংস আনতে যান৷ তখন শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন গৃহবধূ৷ সেটারই প্রতিবাদ করেছিলেন শ্বশুর। তখনই রেগে গিয়ে গৃহবধূ ছিঁড়ে নেন শ্বশুরের অণ্ডকোষ। গৃহবধূকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তারপর সেখানে কী ঘটল? শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা বৌমার এই আচরণ দেখে স্তম্ভিত হয়ে যান। বৌমাকে শান্ত করতে গিয়েছিলেন শ্বশুর৷ অভিযোগ, তখনই হ্যাঁচকা টানে তাঁর অণ্ডকোষ ছিঁড়ে নেয় গৃহবধূ৷ তাতে যন্ত্রণায় অজ্ঞান হয়ে যান শ্বশুর৷ তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে৷ সেখানেই চলছে চিকিৎসা৷ ঘটনার জেরে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে৷