পাণ্ডবেশ্বর থেকে উদ্ধার হল কার্বাইন, একে–৪৭ এবং বেশ কিছু উন্নতমানের আগ্নেয়াস্ত্র–সহ কার্তুজ। পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বর থানার পুলিশ এই আগ্নেয়াস্ত্রগুলি উদ্ধার করেছে। এই ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। আসানসোল পুরসভার উপনির্বাচনে এগুলি ব্যবহার করার ছক কষা হয়েছিল বলে মনে করছে পুলিশ। ওই ব্যক্তি কোনও রাজনৈতিক দলের ঘনিষ্ঠ কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কী তথ্য পেয়েছে পুলিশ? পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম সুনীল পাসওয়ান ওরফে শোলে। শনিবার তাকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। এই ঘটনা নিয়ে আসানসোল–দুর্গাপুর কমিশনারেটের পক্ষ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি কমিশনার (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা। এখানেই উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ প্রকাশ্যে নিয়ে আসা হয়। পাণ্ডবেশ্বরের ৩ নম্বর কোলিয়ারি এলাকায় এই আগ্নেয়াস্ত্রগুলির হাতবদল করার পরিকল্পনা ছিল। সুনীল পাসওয়ানের বাড়ি থেকেই অস্ত্র ও কার্তুজ কিনতে আসার কথা ছিল দুষ্কৃতীদের। গোপন সূত্রে এই খবর পেয়ে সুনীলের বাড়িতে অভিযান চালায় পাণ্ডবেশ্বর থানার পুলিশ।
ঠিক কী বলছেন ডেপুটি কমিশনার? এই আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় অভিষেক গুপ্তা জানান, এই সুনীল পাসওয়ান পুরনো আসামী। আগেও গ্রেফতার হয়েছিল। সুনীলের সঙ্গে মনজিৎ রাম নামে আরও এক দুষ্কৃতীর যোগাযোগ রয়েছে। মনজিৎ এখন ফেরার। পাণ্ডবেশ্বরের কুখ্যাত কয়লা মাফিয়া নূরে আলমের দেহরক্ষী ছিল এই সুনীল পাসওয়ান এবং মনজিৎ রাম। সেই থেকেই পরিচয়। আগে কয়লা পাচারের রমরমা কারবারের সঙ্গে যুক্ত ছিল।
কী কাজে লাগানো হতো অস্ত্রগুলি? সূত্রের খবর, এই অস্ত্রগুলি মানুষকে ভয় দেখাতে ব্যবহার করা হতো। নূরে আলম খুন হয়ে যেতেই এই মাফিয়া সাম্রাজ্য দখল করে সুনীল ও মনজিৎ। সাতমাস আগেও সুনীলকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তখনও তার কাছ থেকে অস্ত্র পাওয়া গিয়েছিল। সুনীল তার অস্ত্রগুলি মনজিতকে লুকিয়ে রাখতে বলেছিল। তাই জেল থেকে বেরোতেই অস্ত্র সুনীলের হাতে তুলে দেয়। এই অস্ত্রগুলি সুনীল বিক্রি করতে ছক কষেছিল।