বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Midday Meal: কুলতলিতে স্কুলে মিড ডে মিলের মাংস-ভাত খেয়ে অসুস্থ শতাধিক পডুয়া, বিক্ষোভ

Midday Meal: কুলতলিতে স্কুলে মিড ডে মিলের মাংস-ভাত খেয়ে অসুস্থ শতাধিক পডুয়া, বিক্ষোভ

মিডডে মিলে দেওয়া মাংস ভাত খাওয়ার পরই অসুস্থ হয়ে পড়ে পডুয়ারা। (প্রতীকী ছবি)

সোমবার দুপুরে স্কুলে মিডডে মিলে মাংস ভাত দেওয়া হয়। খাওয়া পরই অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকে পড়ুয়ারা। কেউ কেউ বমিও করে বলে জানা গিয়েছে।

কুলতলিতে মিডডে মিলের মাংসা ভাত খেয়ে অসুস্থ হয় পড়ল শতাধিক পডুয়া। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় কুলতলি থানার জালাবেড়িয়া ২ পঞ্চায়েতের কেওড়াখালী নকুল সহদেব হাই স্কুলে। অভিযোগ, স্কুলের গেট বন্ধ করে রেখে অসুস্থ পড়ুয়াদের বাইরে বেরতে দেওয়া হয়নি। খবর অভিভাবকরা স্কুলে এসে বিক্ষোভ দেখান। কুলতলি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সোমবার দুপুরে স্কুলে মিডডে মিলে মাংস ভাত দেওয়া হয়। খাওয়া পরই অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকে পড়ুয়ারা। কেউ কেউ বমিও করে বলে জানা গিয়েছে। অসুস্থতার খবর পেয়ে স্কুলে ছুটে যান অভিভাবকরা। তাঁরা পড়ুয়াদের নিয়ে যেতে চাইলে প্রধান শিক্ষক স্কুলের বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। এর পরই উত্তেজিত হয়ে পড়েন অভিভাবকরা। তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। দরজা খোল হলে অভিভাবরা স্কুলের ভিতর ঢুকে শিক্ষকদের আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কুলতলি থানার পুলিশ। তাঁরা অভিভাবকদের বুঝিয়ে শান্ত করেন। পড়ুয়াদের উদ্ধার করে জয়নগর-কুলতলি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

অভিযোগ, স্কুলের মিডডে মিলে বাসী মাংস রান্না করে দেওয়া হয়েছে। ভাতেও ছিল কেরসিনের গন্ধ। তা খাওয়ার পরই অসুস্থ হতে থাকেন পড়ুয়ারা।

আরও পড়ুন: মাধ্যমিকের দিনগুলিতে একাধিক অতিরিক্ত স্টেশনে দাঁড়াবে একগুচ্ছ ট্রেন

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন কুলতলির বিডিও বীরেন্দ্র অধিকারী, স্কুল পরিদর্শক সৌরভ চক্রবর্তী। পরে হাসপাতালে যান স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক গনেশ মণ্ডল। তিনি হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে বলেন, 'খাদ্যে বিষক্রিয়ার জেরেই এই দুর্ঘটনা বলে মনে হচ্ছে। প্রশাসনিক স্তরে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া। তদন্তের পরই কারণ জানা যাবে।' বারুইপুর মহকুমাশাসক সুমন পোদ্দার বলেন, 'খবর পেয়েই আমি বিডিওকে স্কুলে পাঠাই। তবে কোন ছাত্রছাত্রী গুরুতর অসুস্থ হয়নি। '

জয়নগর সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি উৎপল নস্কর বলেন, 'প্রধান শিক্ষক স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের আটকে রেখেছিলেন। আমরা এই তদন্ত চাই।'

বন্ধ করুন