নিত্যদিন সাংসারিক অশান্তি লেগেই থাকত। তা নিয়েই চলছিল সংসার। তবে তা স্থায়ী হল না। ভয়ঙ্কর কাণ্ডের মধ্যে দিয়ে ছন্দপতন ঘটল সেখানে। স্ত্রীকে খুন করার ফলে সংসারের ছন্দ কেটে যায়। দা দিয়ে ঘুমন্ত স্ত্রীর গলা কেটে ফেলে স্বামী বলে অভিযোগ উঠল। খুনের ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের সাগিরা গ্রামে।
ঠিক কী ঘটেছে মঙ্গলকোটে? স্থানীয় সূত্রে খবর, স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে সাংসারিক অশান্তি লেগেই থাকত। শুক্রবার রাতে স্ত্রী সন্তোষী মাঝির(২৮) গলায় দা দিয়ে কোপ মারে স্বামী তাপস দাস। ঘুমন্ত অবস্থাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনা জানাজানি হতেই স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
কী তথ্য পেল পুলিশ? পুলিশ সূত্রে খবর, তাপস দাস পেশায় মোটর গ্যারেজের কর্মী। তার সঙ্গে সন্তোষীর বিয়ে হয় দশ বছর আগে। বিয়ের ৩ বছর পর থেকেই তাপসের মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। আর সংসারে নিত্যদিন অশান্তি শুরু হয়। এই ঘটনার পর তাপসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আর কী জানা যাচ্ছে? নিহত সন্তোষীর কাকা মাধব দাস সংবাদমাধ্যমে জানান, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে রোজ অশান্তি হতো। সেটাই শুক্রবার রাতে চরমে উঠেছিল বলে জানতে পারি। আর তার পর সন্তোষী ঘুমিয়ে পড়লে দা দিয়ে গলা কেটে খুন করে তাপস। এই নিয়ে মঙ্গলকোট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কঠিন শাস্তি চাই ওর।