শুভেন্দু অধিকারী যে বিজেপিতে এলে লাভ হবে, তা সরাসরি স্বীকার করছিলেন না বিজেপি নেতারা। শুধু ‘বড় দরজা, বড় মন’ নিয়ে স্বাগত জানাচ্ছিলেন। হাবেভাবে তা অবশ্য স্পষ্ট ছিল। তবে কোনও রাখঢাক না করে বিজেপি নেতা মুকুল রায় স্পষ্টভাবে জানালেন, শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দিলে গেরুয়া শিবিরের ভোটব্যাঙ্ক আরও মজবুত হবে।
বাংলা সংবাদমাধ্যম ২৪ ঘণ্টায় মুকুল জানান, শুভেন্দু যোগ দিতে বিজেপির পক্ষে লাভজনক হবে। নন্দীগ্রামের বিধায়ক গেরুয়া শিবির যোগ দিলে তাঁর যে ‘অনুগামী’ ভোটব্যাঙ্ক আছে, তাও বিজেপির ঘরে আসবে। তাতে আগামী বছরের বিধানসভা ভোট ফায়দা তুলবে গেরুয়া শিবির।
তবে শুভেন্দু তৃণমূল ছাড়বেন বা বিজেপিতেই যোগ দেবেন কিনা, সে বিষয়ে স্পষ্টভাবে কোনও মন্তব্য করতে চাননি মুকুল। তিনি জানান, খাতায়কলমে শুভেন্দু এখনও তৃণমূলের বিধায়ক। তবে বিজেপিতে এলে তাঁকে স্বাগত জানানো হবে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও জানিয়েছেন, ‘বড় দল’ বিজেপির ‘বড় দরজা, বড় মন’। যিনি আসবেন, তাঁকে স্বাগত জানানো হবে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাতে শুভেন্দুর ‘মানভঞ্জন’ হয়েছিল বলে যেভাবে তৃণমূলের তরফে ‘উচ্ছ্বাস’ প্রকাশ করা হচ্ছিল, ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে তা ‘বিষাদ’-এ পালটে গিয়েছে। দমদমের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়কে হোয়্যাটসঅ্যাপে শুভেন্দু জানিয়েছেন, ‘একসঙ্গে কাজ করা মুশকিল’। তিনি 'ক্ষমা'-ও চান বলে সূত্রের খবর। তৃণমূলের অন্দরের খবর, ‘শুভেন্দু বলেছেন, তিনি যে সমস্যাগুলি তুলে ধরেছিলেন, সেগুলির সমাধান না করে এবং তাঁকে কথা বলতে না দিয়ে সংবাদমাধ্যমে দলের নেতারা মিথ্যা দাবি করছেন। সেই পরিস্থিতিতে তাঁর পক্ষে দলে একসঙ্গে কাজ করা কঠিন।’