উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য অথবা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবি থেকে সরছেন না আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বারলা। পাশাপাশি কেন তিনি এই দাবি করছেন তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন সাংসদ। কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই তিনি এনিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন মহলে দরবারও করবেন। তাঁর দাবি, 'ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকে হিংসা থামার কোনও নামগন্ধ নেই। বিজেপি কর্মীদের দোকান বন্ধ করে দিচ্ছে, রুটি রুজি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। শুধু বিজেপিকে ভোট দেওয়ার অপরাধে বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হবে না, প্রধানমন্ত্রীর আবাসযোজনার সুবিধা মিলবে না এটা কেমন উন্নয়ন। কী উন্নয়ন হয়েছে তৃণমূল আমলে। খালি ডুয়ার্স কন্যা, উত্তরকন্যা বানালে উন্নয়ন হয় না। কম করে সাড়ে তিনশো চা বাগান রয়েছে।তবুও এখানকার মানুষ ভিনরাজ্যে কাজে যেতে বাধ্য হন।' তাঁর দাবি, চিন, ভুটান, বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেরা উত্তরবঙ্গে শান্তি ও সুরক্ষার স্বার্থে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবিতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে দরবার করবেন।
তাঁর আরও দাবি, 'হাইরোডে কারা বসেছে, সব বাংলাদেশীরা বসেছে। ওদের সব সুবিধা বাংলাদেশেও রেশন কার্ড আছে, ভোটার কার্ড আছে। এখানেও সব সুবিধা তারা পাচ্ছে। আমাদের লোক কোথায়। আমাদের লোকের রেশন কার্ড নেই। এই দেখেই আমি দেখলাম সবাই বলছেন দাদা আমায় সুরক্ষা দাও। কিন্তু কোথায় যাব সুরক্ষার জন্য। সেকারণে কেন্দ্রকে বলেছি আমি জানি এখানে জনগণ কী পরিস্থিতিতে রয়েছেন। ভোটের ফলাফল বের হওয়ার পরেও সন্ত্রাস হয়েছে। এরপর জনগণ থেকে আওয়াজ উঠেছে যে নর্থ বেঙ্গল আলাদা হলে আমরাও সুরক্ষিত থাকব। ইউনিয়ন টেরিটরি হলে আমরা সুরক্ষিত থাকব। ওরা বলছেন দাদা আমাদের বাঁচান। পুলিশ শুনছে না, ডিএম শুনছে না। প্রধানমন্ত্রীকে বলুন আপনি । জনপ্রতিনিধি হিসাবে কেন্দ্রীয় সরকারকে বলেছি। কোভিডের পর ফের যাব। বলব সুরক্ষা দাও, শান্তি দাও, উন্নয়ন দাও।'