তিনি আগে বলেছিলেন, দু’জনকে প্রেম একসঙ্গে করা যায় না। তাই অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে প্রেম কার সঙ্গে তিনি করছেন। কিন্তু যাঁকে উদ্দেশ্য করে এই মন্তব্য তিনি বারবার বিতর্ক উস্কে দিলেও অবস্থান স্পষ্ট করেননি। তাই এবার পুরো বিষয়টা ব্যাটে–বলে করতে এগিয়ে এসে সপাটে বল তুলে দিলেন রাজনৈতিক ময়দানের গ্যালারির দিকে। আর তাতেই আরও বিতর্ক দানা বাঁধল। কারণ তিনি শুভেন্দু অধিকারীর নাম নেননি। কিন্তু সপাটে চালানো ব্যাট থেকে বক্তব্যে স্পষ্ট, সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিশানায় ফের সেই মেদিনীপুরের তৃণমূল বিধায়ক। যাঁকে একটি অনুষ্ঠানে তাঁর খোঁচা, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছায়া না থাকলে পুরসভার কাছে আলু বিক্রি করতিস রে, আলু বিক্রি করতিস।’
শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য নিয়ে যখন পূর্ব মেদিনীপুরে চর্চা তুঙ্গে তখন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন বলেই নন্দীগ্রামে আন্দোলন হয়েছিল। আজকে অনেক বড় হতে পারেন। কিন্তু বড় হলেন কার ছায়ায়, সেটাই বড় ব্যাপার।’
কিন্তু এরপরও বিতর্ক থামেনি। বরং বৃহস্পতিবার আরও চাঁচাছোলা ভাষায় নাম না নিয়ে শুভেন্দুকে নিশানা করেছেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ। তিনি বলেন, ‘হিসাবটা আমরা বুঝে নেব। চলে যা বিজেপিতে। কোনও অসুবিধা নেই। যাবি কংগ্রেসে, চলে যা। তাতেও কোনও অসুবিধা নেই। সিপিএমে যাবি, চলে যা। তাতেও অসুবিধা নেই। দাদার অনুগামী হলে দাদার সঙ্গে চলে যা। তৃণমূল কংগ্রেস করে বেইমানি করলে বাড়ি ঢুকতে দেব না। দেখি কত বড় হিম্মত রয়েছে! বাংলার মাটিতে দেখতে চাই, কোন দাদার কত অনুগামী? লড়াই করতে এসেছি। লড়ে যাব। লড়াইয়ের ময়দানে এক ইঞ্চিও ছাড়ব না। বেইমানদের আগামী দিনে বুঝিয়ে দেব।’
তবে এখানেই তিনি শেষ করেননি। ক্ষোভের চোটে তিনি সরাসরি চ্যালেঞ্জ করে বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামে গাছের তলায় বড় হয়েছিস। চারটে মন্ত্রিত্ব পেয়েছিস, চার খানা চেয়ারে আছিস। কত পেট্রোল পাম্প করেছিস! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে মিউনিসিপ্যালিটিতে আলু বিক্রি করতিস রে, আলু বিক্রি করতিস।’ পাল্টা শুভেন্দু আবার ঘাটালের সভা থেকে কটাক্ষ করেছেন, ‘দেখবি আর জ্বলবি, লুচির মতো ফুলবি।’ ফলে এই মন্তব্য পাল্টা মন্তব্যে রাজনৈতিক ময়দান এখন হট কেক।