শুক্রবার ১০ ঘন্টার বেশি জেরা করা হয়েছিল। আজ, সোমবার পুলিশের তলবে দ্বিতীয়বার কাঁথি থানায় হাজিরা দিতে গেলেন বিজেপি নেতা সৌমেন্দু অধিকারী। সেখানে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। শুক্রবার কাঁথি পুরসভার পথবাতি দুর্নীতি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, এবার সারদা কোম্পানিতে জমি দেওয়ার ঘটনা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে সৌমেন্দুকে। তাঁর নামে একাধিক দুর্নীতির মামলা রয়েছে। কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান থাকাকালীন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তাই সোমবার সকাল ১০টা ১৩ মিনিটে কাঁথি থানায় হাজিরা দিলেন সৌমেন্দু।
ঠিক কী বলেছিলেন বিরোধী দলনেতা? শুক্রবারের জিজ্ঞাসাবাদের পর নন্দীগ্রামের বিধায়কের প্রতিক্রিয়া ছিল, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিচ্ছু করতে পারবেন না। ওঁকে সুদে–আসলে সব ফিরিয়ে দেব।’ তবে শান্তিকুঞ্জে চাপা টেনশন শুরু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। কারণ সৌমেন্দুর থেকে পাওয়া তথ্য আদালতে পেশ করে পুলিশ তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইতে পারে। আর তাতে যদি আদালত সম্মতি দেয় তাহলে শ্রীঘরে যেতে হবে সৌমেন্দুকে। এখন যদিও তাঁর কাছে রক্ষাকবচ আছে।
কেন কাঁথি থানায় এলেন সৌমেন্দু? কাঁথি পুরসভার দু’বারের পুরপ্রধান ছিলেন সৌমেন্দু অধিকারী। পুরপ্রধান থাকাকালীন সেখানে একাধিক দুর্নীতির সঙ্গে তিনি জড়িয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। তাই তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়ের করেছে কাঁথি থানার পুলিশ। এমনকী তদন্ত শুরু করেছেন অফিসাররা। কাঁথি পুরসভার শ্মশানে স্টল দুর্নীতি, সারদা কোম্পানি থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে দুর্নীতি, ত্রিপল চুরি মামলা, টেন্ডার দুর্নীতি, গ্রিন সিটি (পথবাতি) দুর্নীতি–সহ নানা মামলা দায়ের হয়েছে। আদালত তাঁকে তদন্তে সহযোগিতা করতে বলেছে এবং রক্ষাকবচও দিয়েছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? কলকাতা হাইকোর্ট সৌমেন্দু অধিকারীকে অন্তর্বর্তীকালীন রক্ষাকবচ দেয়। তার জেরে তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না। কিন্তু তদন্তে সহযোগিতা করতে বলা হয়। আগে কাঁথি থানায় তলব করা হলে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। গত ২৯ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ রক্ষাকবচ দেয় সৌমেন্দুকে। আজ, সোমবার সারদা সংক্রান্ত একটি মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ হতে পারে বলে সূত্রের খবর।