দলের ঘোষিত প্যানেলকে পরাজিত করে বিজেপির সমর্থনে প্রধান হয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তৃণমূলে ফিরলেন প্রধান। শনিবার হুগলির খানাকুলের অরুন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। এর পর প্রধান দেবাশিস সিং যে সাফাই দিয়েছেন তাতে একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। তৃণমূলের দাবি, এর জেরে পঞ্চায়েতের দখল এসেছে তাদের হাতে। যা মানতে নারাজ বিজেপি।
অরুন্ডা পঞ্চায়েতের ২৩ আসনের মধ্যে তৃণমূল ১৪টি ও বিজেপি ৯টি আসন পায়। কিন্তু বৃহস্পতিবার বোর্ড গঠনের আগে উলটে যায় হিসাব। বিজেপিতে যোগদান করেন তৃণমূলের ৩ সদস্য। এর ফলে তৃণমূলের সদস্যসংখ্যা কমে হয় ১১ ও বিজেপি ১২। জেলা পার্টি অফিসে গিয়ে দলবদল করেন তাঁরা। বোর্ড গঠন হলে দেখা যায় প্রধান হয়েছেন তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদানকারী দেবাশিস সিং। উপপ্রধান হয়েছেন বিজেপির তনুশ্রী দলুই। তৃণমূলকে টক্কর দিয়ে বোর্ড দখল করে উৎসবে মাতেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। সেই আনন্দের রেশ কাটতে না কাটতেই শনিবার তৃণমূলে ফেরেন দেবাশিস সিংসহ বিজেপি যোগদানকারী ২ সদস্য। ফলে পঞ্চায়েতে ফের গরিষ্ঠতা পায় তৃণমূল।
এর পর দেবাশিসবাবু বলেন, আমাকে ভুল বুঝিয়ে বিজেপিতে যোগদান করিয়েছিল। আমি তৃণমূলেই ছিলাম, তৃণমূলেই থাকব। তৃণমূলের জেলা সভাপতি রামেন্দু সিংহরায় বলেন, বোর্ড গঠনের দিন ওদের অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছিল। বিজেপির কবল থেকে মুক্ত হতেই ওরা আবার তৃণমূলে ফিরেছে। পালটা বিজেপির জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, তৃণমূল আমাদের ২ সদস্যকে তুলে নিয়ে গিয়ে দলবদল করিয়েছে। এসব করে লাভ হবে না পঞ্চায়েত আমাদেরই থাকবে।
যদিও এই ঘটনায় দেবাশিসবাবু ও তৃণমূলের বক্তব্যে অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। তৃণমূলের একাংশ বলছে, দলীয় প্যানেলকে অগ্রাহ্য করে দেবাশিস সিংকে প্রধান করতে দলেরই একাংশ এই খেলা খেলেছে।