দলের প্রাক্তন নেতা মালখান সিংয়ের গ্রেফতারের প্রতিবাদে সরব হলেন কেএলও প্রধান জীবন সিং। পুলিশ তাঁদের নেতাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন জীবন সিং। এমনকী এক অডিয়ো বার্তায় সরাসরি রাজ্য সরকারকে হুমকি দিয়েছেন কেএলও প্রধান। তবে সেই অডিয়ো ক্লিপ যাচাই করে দেখেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল। তবে আবার হুঁশিয়ারি দিয়ে অডিয়ো বার্তা ছেড়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (কেএলও) প্রধান জীবন সিং। যদিও এই হুঁশিয়ারিকে আমল দিতে রাজি নয় নবান্ন।
ঠিক কী বলেছেন অডিয়ো বার্তায়? মালখান সিং ওরফে মাধব মণ্ডলকে দার্জিলিং জেলার খড়িবাড়ি এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দারা। তারপরই হুঁশিয়ারি দিয়ে জীবন সিং অডিয়ো বার্তায় বলেন, ‘ষড়যন্ত্র করে গ্রেফতার করা হয়েছে মালখান সিংকে। এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এর জন্য বাংলার সরকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চরম খেসারত দিতে হবে।’ ডিএসপি (এসটিএফ) সুদীপ ভট্টাচার্য, কুমারগ্রাম থানার আইসি বিডি সরকারকেও দেখে নেওয়ার হুঁমকি দিয়েছেন তিনি।
কে এই মালখান সিং? মালদার বামনগোলার বাসিন্দা মালখান সিং ওরফে মাধব মণ্ডল কেএলও’র প্রথমদিকের নেতা। জীবন সিংয়ের দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধা। অপারেশন ফ্ল্যাশ আউটের সময় গ্রেফতার হন মালখান সিং। তারপর জেল থেকে ছাড়া পেয়ে মূল সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন করে মূলস্রোতে ফিরেও আসেন তিনি। রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দাদের দাবি, মালখান গত এক বছরের বেশি সময় ধরে কেএলও প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন। পুরনো ক্যাডার যারা জেল থেকে ছাড়া পেয়ে বাংলা এবং অসমের বিভিন্ন জায়গায় ছিলেন তাঁদের ফের সংগঠিত করে অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়ার উস্কানি দিচ্ছিলেন মালখান। এমনকী মালদা এবং দুই দিনাজপুর জেলা থেকে ২৫ জন যুবক–যুবতী কেএলও সংগঠনে যোগ দিয়েছে। তাদের প্রশিক্ষণ শিবিরে পৌঁছে দেওয়ার বন্দোবস্তও করেছেন মালখান।
কেন তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি দিলেন? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গ সফরের মধ্যেই গ্রেফতার হন প্রাক্তন কেএলও নেতা মালখান সিং। গত ১৯ অক্টোবর রাতে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের খড়িবাড়ি এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। তাঁকে শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করা হলে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। গুয়াহাটিতে কেএলও প্রধান জীবন সিংয়ের সভায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন মালখান। যাওয়ার পথে খড়িবাড়ির কাছে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।