বেআইনি নির্মাণ এখন কলকাতা পুরসভার ঘুম কেড়েছে। কী ভাবে তা বন্ধ করা যায় সেটাই এখন পুরসভার ধ্যানজ্ঞান। ইতিমধ্যে একটি অ্যাপ আনা হয়েছে। যে অ্যাপে কোনও নির্মাণের নিময়িত ছবি দিচ্ছেন পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা। এবার পুরসভা চাইছে, নাগরিকরাও নজর রাখুক বেআইনি নির্মাণের উপর।
অনুমোদিত নক্সা প্রতিদিন তুলে দেওয়া হচ্ছে পুরসভার ওয়েবসাইটে। ওয়েবসাইটের বিল্ডিং কলামে আপলোড করা হচ্ছে এই নক্সা। শহরের নাগরিক চাইলে দেখে নিতে পারবেন তাঁর এলাকায় কোনও বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে কিনা। চাইলে তিনি পুরসভায় নালিশও জানাতে পারবেন সেই বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে।
গার্ডেনরিচ থেকে শিক্ষা
ভোট ঘোষণার আগে গার্ডেনরিচে ভেঙে পড়ে একটি নির্মিয়মান বহুতল। সেই ঘটনা থেকেই সতর্ক হয়েছে পুরসভা। বেআইনি নির্মাণ রুখতে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এমনকি পুর আইন বদলেরও পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এবার নাগরিকদের যুক্ত করার হবে। তাই ‘ওপেন টু অল’ করা হচ্ছে কলকাতা পুরসভার অনুমোদিত নক্সা। প্রতিদিনের অনুমোদিত আপলোড করে দেওয়া হচ্ছে ওয়েব সাইটের বিল্ডিং বিভাগ কলামে।
আরও পড়ুন। 'যোগ্যদের' কী হবে? চাকরিহারাদের সঙ্গে বৈঠক মধ্য শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির
শুধু নতুন নয় ১০ বছরের পুরনো নক্সাও তোলা হচ্ছে ওয়েব সাইটে। ‘প্রেমিসেস নম্বর’ দিয়ে ওয়েবসাইট থেকে দেখে নিয়ে সেখানে অবস্থিত বিল্ডিয়ের নক্সা। দেখে নিতে পারবেন নক্সা অনুযায়ী বিল্ডিংটি হয়েছে কিনা। এর মাধ্যমে বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জুড়ে নেওয়া যাবে নাগরিকদের।
অ্যাপের ব্যবহার
বেআইনি নির্মাণ রুখতে নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিল্ডিং বিভাগের ইঞ্জিনিয়ারদের একটি বিশেষ অ্যাপ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা নিয়মিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করছেন। সংশ্লিষ্ট নির্মাণের ছবি তুলে তাঁরা ওই অ্যাপে আপলোড করে দিচ্ছেন। এর ফলে বোঝা যাচ্ছে কোনটা অনুমোদিত ও কোনটা বেআইনি।
তবু থেকে যাচ্ছে শঙ্কা
বেআইনি নির্মাণের উপর নজরদারি চালানোর জন্য নাগরিক যুক্ত করাকে স্বাগত জানিয়েছেন পুর আধিকারিকরাও। এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘নিয়মিত নতুন বাড়ির নক্সা আপলোড করে দেওয়ার পাশাপাশি গত ১০ বছরের পুরনো শহরের যাবতীয় বাড়ি, বহুতলের নক্সাও আপলোড করে দেওয়া হবে। কোনও নাগরিক যদি কোনও পাড়া বা তাঁর এলাকার কোনও বাড়ি বা নির্মাণ বেআইনি কিনা তা জানতে চান, তবে তাঁরা ওয়েবসাইটে গিয়ে জানতে পারবেন। তাঁরা সরাসরি পুরসভাকে অভিযোগ জানাতে পারবেন।’
তবে এসব সত্ত্বেও প্রশ্ন উঠছে, পুর আধিকারিকদের একাংশের গাফিলতি বা কিছু অভিসন্ধি কি থাকবে না? সেক্ষেত্র ‘চৌকিদার’ হিসাবে সচেতন নাগরিকদের অগ্রণী হিসাবে চাইথে পুরসভা।
আরও পড়ুন। ফুড SI নিয়োগের পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস, CID তদন্তের নির্দেশ, স্থগিত ফল প্রকাশ, নিয়োগ