একেবারে টান টান উত্তেজনার দৃশ্য। স্টেশনটি বেশ ফাঁকা। ট্রেন ঢোকার আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। এমন সময়ই এক যুবক আচমকা প্লাটফর্ম থেকে নেমে পড়লেন। এরপর সোজা রেললাইনের উপর শুয়ে পড়েন তিনি। এদিকে ততক্ষণে ছুটে আসছে ট্রেন। যে কোনও সময় বড় কিছু হয়ে যেতে পারে। কিন্তু না!
তারপর যা হল তা জানলে ভালো লাগবে আপনারও। উলটো দিকে প্লাটফর্মে তখন ছিলেন এক লেডি কনস্টেবলের। আর পিএফের ওই মহিলা কনস্টেবল আর দুবার ভাবেননি। তিনি তৎক্ষণাৎ প্লাটফর্ম থেকে লাইনে নেমে পড়েন। বড় বিপদের মুখে পড়তে পারতেন তিনিও। কিন্তু ততক্ষণে ট্রেন কাছে চলে এসেছে। তবে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে লাইন টপকে তিনি ওই যুবকের কাছে চলে যান। এরপর তিনি দ্রুত ওই যুবককে টেনে সরিয়ে দেন। তবে তার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই চলে আসে ট্রেন। ততক্ষণে অন্য প্লাটফর্ম থেকে অন্যরা নেমে পড়েছেন। তারাও ওই যুবককে টেনে লাইনের অপর প্রান্তের প্লাটফর্মে নিয়ে তুলে ফেলেন।
অনেকেই বলছেন ওই আরপিএফ মহিলা কনস্টেবলের তৎপরতায় প্রাণে বেঁচে গেলেন যুবক। এটা নিঃসন্দেহে প্রশংসার। আর একটু হলেই সব শেষ। একেবারে চোখের সামনে। সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সমস্ত ভিডিয়ো।
সূত্রের খবর, ওটা পূর্ব মেদিনীপুরের ভিডিয়ো। আরপিএফের তরফেও তেমনটাই দাবি করা হয়েছে। সেখান দিয়ে ওই সময় পূর্বা এক্সপ্রেস যাচ্ছিল। আর ট্রেন আসার আগেই রেললাইনে শুয়ে পড়েছিলেন যুবক। কিন্তু লেডি আরপিএফ কনস্টেবলের জন্য় তিনি শেষ পর্যন্ত প্রাণে বাঁচলেন। নেটিজেনরাও তাঁর প্রশংসা করছেন। তবে এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।
আরপিএফ ইন্ডিয়া টুইট করে লিখেছে, লেডি কনস্টেবল কে সুমতি ভয়হীনতার সঙ্গে রেললাইন থেকে এক ব্যক্তিকে সরিয়ে দিয়েছেন। পূর্ব মেদিনীপুরের স্টেশনে একটি ছুটন্ত ট্রেন আসার আগে তিনি এই কাজ করেছেন। মিশন জীবনরক্ষার প্রতি দায়বদ্ধ।
অনেকেই আরপিএফ কর্মীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তবে একজন লিখেছেন, যাকে বাঁচানো হল তিনি মনে হয় বড্ড একলা। তাঁর কথা ভেবে খুব কষ্ট লাগছে।