বিজেপিকে রুখতে যে কোনও দলের সঙ্গে জোট করতে প্রস্তুত আছে বামফ্রন্ট। সেজন্য ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করতে কোনও আপত্তি নেই। এমনটাই জানালেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু।
রবিবার তমলুকে সিপিআইএম নেতা নির্মল জানার স্মরণসভার পর বিজেপি-বিরোধী জোট নিয়ে বামফ্রন্টের চেয়ারম্যানকে প্রশ্ন করা হয়। রাজ্যে ‘প্রবল শত্রু’ তৃণমূলের সঙ্গেও হাত মেলানোর প্রসঙ্গ উঠে আসে। বিমান বলেন, ‘সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে এটা বহু বার ঘটেছে, একাধিকবার নয়। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারিকা, কচ্ছ থেকে কোহিমা পর্যন্ত কোনও আন্দোলন সংগঠিত করার প্রশ্ন দেখা দিলে বিজেপি-বিরোধী সব শক্তির সঙ্গে আমরা একজোট হয়ে কাজ করতে প্রস্তুত।’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘বিজেপি ছাড়া যে কোনও দলের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। এরপর আর কোনও কথা আছে?’
এবার বিধানসভা নির্বাচনে শূন্যে নেমে যাওয়ার পর থেকেই ‘শক্র’ নির্বাচনের ক্ষেত্রে যে ‘ভুল’ হয়েছে, তা কিছুটা স্বীকার করে নিয়েছে বামফ্রন্ট। ‘বিজেমূল’ (বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস) তত্ত্বে যে আখেরে পুরো লড়াইটা দ্বিমুখী হয়েছে, তা অনুধাবন করতে পেরেছেন আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের নেতারা। সেই ‘ভুল’ থেকেই শিক্ষা নিয়ে সম্ভবত বামফ্রন্ট তৃণমূলের সঙ্গে সর্বভারতীয় স্তরে হাত মেলানোর পথ খোলা রেখেছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
এমনিতেই পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের বড়সড় জয়ের পর থেকেই সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপিকে রোখার জন্য সলতে পাকানোর কাজ শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষমুহূর্তে হাত না মিলিয়ে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে আগে থেকেই বিজেপি-বিরোধী জোটের সওয়াল করছেন। বিজেপিকে বাংলায় ধরাশায়ী করার পর সেই জোটের অন্যতম মুখও হয়ে উঠেছেন মমতা। যিনি সোমবারই দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। সূত্রের খবর, দিল্লি সফরে বিরোধী জোটে শান দেবেন মমতা। যে রাজ্যে যে দল শক্তিশালী, সেখানেই সেই দলই লড়াই করার যে ফর্মুলা চালুর প্রস্তাব দিয়েছিলেন মমতা, তা নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনা হতে পারে। প্রশান্ত কিশোরের টিপস নিতে পারেন।