বর্ষার শেষে প্রজননের ঋতুতে চা বাগানে বেড়েছে চিতাবাঘের আনাগোনা। আর মানুষ – বন্যপ্রাণী সংঘাত রুখতে তৎপর রয়েছে বনদফতরও। সেই তৎপরতার জেরেই শনিবার রাতে ডুয়ার্সের চা-বাগানে ধরা পড়ল একটি পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী চিতাবাঘ। ডুয়ার্সের গান্দরাপাড়া চা বাগানে ধরা পড়া চিতাবাঘটিকে বিন্নাগুড়ি প্রকৃতি পর্যবেক্ষণকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বর্ষার শেষে প্রজননের ঋতুতে চা বাগানে চলে আসে স্ত্রী চিতাবাঘ। জঙ্গল থেকে কিছুটা দূরে চা বাগানে জল দেওয়ার নালার পাশে সন্তান প্রসব করতে পছন্দ করে তারা। এর ফলে প্রতি বছরই এই সময় চা বাগানগুলিতে বাড়ে চিতাবাঘের আনাগোনা। এবছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। অন্তত ৬টি চা বাগানের বাসিন্দারা চিতাবাঘ দেখা গিয়েছে বলে জানিয়েছেন। কিন্তু কিছুতেই ধরা যাচ্ছিল না তাদের। শনিবার রাতে মিলল প্রথম সাফল্য।
এদিন গেন্দরাপাড়া চা বাগানে ছাগলের টোপ দিয়ে ফাঁদ পাতেন বিন্নাগুড়ি রেঞ্জের বনকর্মীরা। গভীর রাতে ফাঁদে ধরা পড়ে চিতাবাঘটি। সকালে সেটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় বনদফতর। প্রত্যাশামতো ধরা পড়েছে একটি পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী চিতাবাঘ।
বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণী স্কোয়াডের রেঞ্জার শুভাশিস রায় বলেন, ‘চিতাবাঘটিকে লাটাগুড়ি প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে শারীরিক পরীক্ষার পর প্রাণীটিকে গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে।’