গতকাল রাতে বীরভূমের রামপুরহাট থানার অন্তর্গত বরশাল গ্রামের তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন হন। কয়েক জন দুষ্কৃতীর ছোড়া বোমায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি। এরপরই গতরাতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সেই এলাকায়। আগুন লাগে বেশ কয়েকটি বাড়িতে। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১০ জনের। এই ঘটনা ঘিরে আজ দিনভর রাজনৈতিক চাপানউতোর জারি থাকে রাজ্যে। রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম নিজে পৌঁছান রামপুরহাটে। গঠিত হয় সিট।
‘কাউকে ছাড়া হবে না’
অনুব্রত মণ্ডলের পাশে বসে ফিরহাদ হাকিম এদিন বলেন, ‘তৃণমূলের বদনাম করার জন্য এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের কাউকে ছাড়া হবে না।’
রামপুরহাটকাণ্ড নিয়ে পার্থর বক্তব্য
বিধানসভায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘রামপুরহাটের দূর্ভাগ্যজনক ঘটনায় কিছু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে রাজ্য সরকার৷’
দিল্লিতে পাঠাতে হবে রিপোর্ট
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দিল্লিতে দেখা করলেন বঙ্গ বিজেপির সাংসদরা। বৈকে উপস্থিত ছিলেন সুকান্ত মজুমদার, লকেট চট্টোপাধ্যায়, জগন্নাথ সরকার, অর্জুন সিংরা। ছিলেন দিলীপ ঘোষও। বেছকের পরই কেন্দ্রের তরফে রাজ্যকে জানানো হল, রামপুরহাট কাণ্ডের রিপোর্ট আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দিল্লিতে পাঠাতে হবে।
‘আগুন লাগানো হয়েছিল’
রামপুরহাটে অগ্নিকাণ্ড নিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের শর্ট–সার্কিট তত্ত্ব খারিজ করে দিল সিট। একইসঙ্গে কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি, আগুন লাগানো হয়েছিল বলেও জানানো হয়েছে সিটের তরফে।
কুণালের ডিগবাজি
রামপুরহাটকাণ্ড প্রকাশ্যে আসতেই ‘রাজনীতি নেই’ বলে দাবি করেছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তবে কয়েক ঘণ্টার পরই বয়ান বদল করে কুণাল বললেন, ‘বৃহত্তর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হয়েছে।’ কুণাল লেখেন, ‘বৃহত্তর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে তৃণমূল নেতাকে খুন করে তারপর এই আগুন লাগানো হয়েছে। শান্ত বাংলাতে ইস্যু তৈরি করতে কারা এই কাজ করেছে, তা সকলেই বুঝছে। মাননীয়া CM-এর নির্দেশে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। OC ক্লোজড। SDPO অপসারিত। SIT গঠিত। এখনও পর্যন্ত ১১ গ্রেপ্তার। তদন্ত চলছে।’
রাজভবনে বিজেপি
বিজেপি পরিষদীয় দল রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙঅগে ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে কথা বলবে।
শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন সুকান্তরা
রামপুরহাটকাণ্ডে বিজেপির সাংসদরা সরব হচ্ছেন দিল্লিতে। সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে বিজেপি সাংসদরা আজ বিকেলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে জানা গিয়েছে।
‘চামচারাই মেরেছে’, বিস্ফোরক ভাদু শেখের স্ত্রী
ভাদু শেখের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী কোনওদিন কিছু করেনি। আমার স্বামী উপপ্রধান ছিল। আমার স্বামী সকলকে খাওয়াতো। ওরা আমার স্বামীর চামচা ছিল। আমার স্বামীকে যারা মেরেছে তাদের শাস্তি দিতে হবে। তৃণমূলের ছেলেরাই মেরেছে আমার স্বামীকে।
রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে ফিরহাদ
নিহত ভাদু শেখের বাড়িতে গেলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। পাশাপাশি অগ্নিদগ্ধ বাড়িগুলি ঘুরে দেখেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের আরও দুই বিধায়ক। ফিরহাদ হাকিম রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজেও যান আহতদের দেখতে।
‘ব্যক্তিগত শত্রুতা থেকে এই ঘটনা’
রামপুরহাটকাণ্ডের সঙ্গে রাজনীতির যোগ খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানান রাজ্য পুলিশের ডিজি। ব্যক্তিগত শত্রুতা থেকে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
সিবিআই তদন্তের দাবি
ডিজি ইতিমধ্যেই বলেছেন যে রামপুরহাটকাণ্ডে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। এই আবহে উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন জনৈক আইনজীবী।
উদ্বেগ প্রকাশ রাজ্যপালের
রামপুরহাটের বড়টুইগ্রামের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যপাল বলেন, ‘রামপুরহাটের ভয়াবহ নৃশংসতায় আমি মর্মাহত ও বিব্রত। এই ঘটনায় স্পষ্ট রাজ্যে মানবাধিকার বিপন্ন, আইনের শাসন ভেঙে পড়েছে।'
সাংবাদিক সম্মেলন করলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি
সংবাদমাধ্যমকে ডিজি বলেন, ‘মৃত উপপ্রধানের গ্রামের ৭ থেকে ৮টা বাড়িতে আগুন লাগে। গতকাল রাতে সেখানে পুলিশ পৌঁছে যায়। দমকলও যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সেই সময় ২ থেকে ৩ জন আহত হন। তাঁদেরকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। আজকে দমকল কর্মীরা যখন একটা বাড়ির ভিতরে ঢোকেন, তখন সেখান থেকে ৭টা দেহ পাওয়া গিয়েছিল। এটা কীভাবে হয়েছে, তা দেখা হচ্ছে। মানুষ উত্তেজিত হয়ে করেছে নাকি অন্য কোনও ভাবে এই ঘটনা ঘটেছে, তা দেখা হচ্ছে। ওখানকার এসডিপিও ও আইসিকে সরিয়ে দিয়েছি।’
‘সিলিন্ডার বিস্ফোরণ নাকি শর্ট সার্কিট… তদন্ত করতে হবে’
বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘সাতজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা বলা এখনই সম্ভব নয়। তদন্ত করার পরই আসল কারণ জানা যাবে। সিলিন্ডার বিস্ফোরণ নাকি শর্ট সার্কিট হয়েছে সেটা তদন্তের পরই বোঝা যাবে। ফরেন্সিক টিমকে ডাকা হয়েছে। ওরা এসেই তদন্ত করে দেখবে। একটা বাড়িতেই বেশি ক্ষতি হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে দমকল এসে গিয়েছিল।’
অনুব্রতর বিরুদ্ধে মামলার পথে বিজেপি
রামপুরহাটের বাড়িতে আগুন লাগার ঘটনায় ক্রমেই রাজনৈতিক পারদ চড়ছে। বিজেপি যেখানে ঘটনাটিকে রাজনৈতিক প্রতিহিসা বলে দাবি করছে, সেখানে তৃণমূলের দাবি, এই ঘটনায় রাজনীতি নেই। সকালেই ঘটনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অনুব্রত দাবি করেছিলেন, ‘শর্ট সার্কিট থেকে টিভি ফেটে আগুন লাগে।’ তাঁর এই মন্তব্যের জেরে এবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার কথা ভাবছে বিজেপি।
‘ছোট আঙারিয়ার পুনরাবৃত্তি’
রামপুরহাট কাণ্ডে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'এই ঘটনার পিছনে তৃণমূলই জড়িত। ভাদু শেখকে বীরভূমের সব মানুষই জানে। রামপুরহাটের পরিচিত নাম ভাদু শেখ। প্রমোটিং থেকে সমস্ত বিষয়ে সে জড়িত এবং তার আধিপত্য ছিল। গত বছর ভাদু শেখের ভাই খুন হয়। তৃণমূলে দুটি গোষ্ঠীর মধ্যেই এই অশান্তির কারণেই এই ঘটনা। ভাদু শেখ খুন হওয়ার পর ওই বাড়িগুলিতে আগুন লাগানো হল। দমকল বলছে ১০ টি দেহ এখনও পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে, কিন্তু পুলিশ বলছে ৭টি দেহ উদ্ধার হয়েছে। আসলে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কম করে দেখানোর জন্য। রামপুরহাটে পূর্ব ও পশ্চিমপাড়ার মধ্যে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব। গতকাল রাতে আগুল লাগল, পুলিশ এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ নিল না, পুলিশ তাদের সেফ প্যাসেজ দিয়ে দিল। যেখানে দমকল বলছে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, সেখানে পুলিশ সুপার বলে দিল ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০১৪ সালের পর থেকে বিজেপি কর্মীরা একে খুন হচ্ছে, বুদ্ধিজীবী থেকে কবি সাহিত্যিক সবাই চুপ। এখন তৃণমূল খুন হচ্ছে, আজকে ছোট আঙারিয়ার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। এখন তৃণমূল খুন হচ্ছে, সংখ্যালঘুরা খুন হচ্ছে।
কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ দাবি শুভেন্দুর
রামপুরহাটে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনার পরই শুভেন্দু অধিকারী অবিলম্বে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় বং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্তরী অমিত শাহকে ট্যাগ করে টুইট করেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতা লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে দ্রুত আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে। পঞ্চায়েত উপপ্রধানের মৃত্যুর পরে উত্তেজনা ও সন্ত্রাস ছড়ায় বীরভূম জেলার রামপুরহাটে; গত সন্ধ্যায় বোমা হামলায় ভাদু শেখ নিহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এরপরই বিক্ষুব্ধ জনতা পরে বেশ কয়েকটি বাড়ি ভাংচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয়।’
‘মোদী-শাহ আগে পদত্যাগ করুক’
রাজ্যসভার সদস্য তথা তৃণমূল নেতা ডঃ শান্তনু সেন বলেন, 'বিজেপি যদি একটি ঘটনার কারণে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে তবে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগ করা উচিত।'
'সরকার তৎপরতার সঙ্গে যা করার করছে'
টুইট বার্তায় কুণাল ঘোষ লখেন, ‘সরকার তৎপরতার সঙ্গে যা করার করছে। ওসিকে ক্লোজ করা হয়েছে। এসডিপিও-কে অপসারিত করা হয়েছে। ঘটনার যথাযথ তদন্ত করা হবে। দুর্ঘটনা, না আগের খুনের প্রতিক্রিয়া, না ষড়যন্ত্র, সব খতিয়ে দেখা হবে। এই আগুনের ঘটনায় রাজনীতি নেই।’
ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা
স্থানীয় সূত্রে খবর, বেশ কয়েকটি বাড়িতে দুষ্কৃতীরা আগুন লাগিয়ে দেয়। তার জেরে মৃতের সংখ্যা ১০ জনে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই মহিলা। একজনের দেহ অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় রামপুরহাট হাসপাতালে নিয়ে আসা হযেছিল। বাকি দেহগুলি লোপাট করে ফেলা হয়েছে। সকাল থেকে গ্রামে ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে।
‘মুখ্যমন্ত্রীকে এখনই পদত্যাগ করতে হবে’
সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। পাল্টাপাল্টি হামলায় ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের হত্যা করা হচ্ছে। তাহলে সাধারণ মানুষ কতটা নিরাপদে থাকে, তা ভাবতে হয়। মুখ্যমন্ত্রীকে এখনই পদত্যাগ করতে হবে।’ বিজেপির রাজ্য সভাপতি আরও বলেন, ‘আমরা মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছি। এটা রাজ্য সরকার চলছে না সার্কাস চলছে? এতবড় একটা অঘটন ঘটে গেল! কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ১০ জন পশ্চিমবঙ্গবাসীর জীবন চলে গেল, আর পুলিশের কাছে কোনও ইনপুট নেই! পুলিশ করছেটা কী?’
‘আমি রামপুরহাট থেকে অনেক দূরে থাকি’
রামপুরহাট কাণ্ডে বয়ান বদল অনুব্রত মণ্ডলের। সকালে তিনি বলেছিলেন টিভি ফেটে বিস্ফোরণে আগুন লেগেছিল এলাকায়। পরে বেলা নাগাদ তৃণমূল নেতা বলেন, 'কিছু লোক ওই বাড়িগুলোতে হামলা চালিয়ে থাকতে পারে। আমি কীভাবে নিশ্চিতভাবে বলতে পারি? আমি রামপুরহাট থেকে অনেক দূরে বোলপুর শহরে থাকি।'
ফিরহাদ যাচ্ছেন ঘটনাস্থলে
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাচ্ছেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর সঙ্গে আরও দুই জন বিধায়ক থাকবেন। রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ ফিরহাদের সঙ্গে হেলিকপ্টারে করে যাচ্ছেন এলাকায়।
সিট-এর নেতৃত্বে জ্ঞানবন্ত সিং
বিশেষ তদন্তকারী দলেপ নেতৃত্বে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গঠিত সিট-এর নেতৃত্বে রয়েছে এডিজি সিআইডি জ্ঞানবন্ত সিং।
ঘটনাস্থলে বীরভূম জেলার জেলাশাসক
ঘটনাস্থলে বীরভূম জেলার জেলাশাসক। গোটা এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি। জেলাশাসক পুড়ে যাওয়া বাড়িগুলি পরিদর্শন করছেন। জেলাশাসক বলেন, ‘তদন্ত চলছে, এর বেশি কিছু বলা যাবে না।’
বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী, ক্লোজ OC, SDPO
রামপুরহাটের ঘটনায় নবান্নে বৈঠকে বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে আছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি, রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব। রামপুরহাট থানার সিট গঠন করে ওসি এবং এসডিপিওকে ক্লোজ করা হয়েছে।
‘টিভি ফেটে আগুন’
তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা প্রধান অনুব্রত মণ্ডল দাবি করেন শর্ট সার্কিটের কারণে টিভি ফেটে এই আগুন লেগেছে। ঘটনায় রাজনৈতিক রঙ লাগাতে নারাজ তৃণমূল নেতা।
কলকাতা থেকে তদন্তকারী দল রামপুরহাটে
কলকাতা থেকে তদন্তকারী দল আসছে রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে। সিআইডি টিমও আসছে এখানে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান রেকর্ড করা হবে।
বিধানসভা থেকে বিজেপির ওয়াকআউট
রামপুরহাটের ঘটনায় বিজেপি বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেছেম। এই নিয়ে বিধানসভায় বিজেপির মুখ্য আহ্বায়ক মনোজ টিগ্গা দাবি করেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বলতে চাইলে বিজেপিকে বলার সুযোগ দেননি অধ্যক্ষ। এর প্রতিবাদে তাঁরা ওয়াকআউট করেন বিধানসভা থেকে।
মৃত্যু দুই শিশুসহ অন্তত ছয় মহিলার
রামপুরহাট হাসপাতাল সূত্রে খবর, অন্তত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে অগ্নিকাণ্ডর ঘটনা। ২টি শিশু, ৬ জন মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে হাসাপাতাল।