দু'মাস ধরে সংবাদ শিরোনামে থাকা সন্দেশখালিতে ঢুকে পড়ল কেন্দ্রীয় বাহিনীর। লোকসভা নির্বাচনের আগে মানুষের মনে আস্থা-ভরসা যোগাতে রুট মার্চ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তারই ধারবাহিকতায় এবার রাজ্যের রাজনৈতিক আলোচনার শিরানামে থাকা সন্দেশখালিতে সোমবার রুট মার্চ করল কেন্দ্রীয় বাহিনী।
রবিবার গভীর রাতে এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী বেড়মজুরের হাটখোলা এলাকায় আসে। সেখান থেকেই তারা রুট মার্চ শুরু করে। সকালে বেড়মজুর এলাকায় রুট মার্চ করে রামপুরবাজার হয়ে নৌকা করে নদী পেরিয়ে জেলিয়াখালি দ্বীপের বিভিন্ন এলাকায় রুট মার্চ করে।
গত বৃহস্পতিবার শেখ শাহজাহান সন্দেশখালি থেকে গ্রেফতার হওয়ার পর বর্তমানে এলাকা মোটামুটি শান্তই রয়েছে। ১১ জায়গায় এখনও পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তবে ধাপে ধাপে ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হবে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। আপাতত ওই এলাকাগুলোতেও টহল দেবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
আরও পড়ুন। সিভিক-গ্রিন পুলিশ নিয়ে সিপি-র জবাবে হতবাক, 'শাহজাহানদের' নিয়ে কড়া বার্তা কমিশনের
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর অনুযায়ী প্রথম ধাপে রাজ্যে ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার কথা। ইতিমধ্যে শহরে সেই সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছে গিয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় তারা রুট মার্চও করতে শুরু করে দিয়েছে। কলকাতায় পৌঁছেছে সাত কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এরই মধ্যে উত্তেজনাপ্রবণ সন্দেশখালিতে পৌঁছে গেল কেন্দ্রীয় বাহিনী। এ ছাড়া দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের কয়েকটি জায়গায় রুট মার্চ শুরু করেছে বাহিনী। হাবড়া, উত্তর ২৪ পরগনার কয়েকটি এলাকা, বীরভূমের সিউড়ি এবং খয়রাশোলে রুট মার্চ করছে বাহিনী।
আগামী ৭ মার্চ আরও ৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে আসবে। তারা বিভিন্ন স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে টহল দেবে। এছাড়া বুথে বুথেও টহল দেবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
আরও পড়ুন। 'ডাস্টবিন করে রেখেছে', লোকসভা ভোটের আগে প্রার্থী বাছাই নিয়ে অনন্ত মহারাজের তোপ
এমন দিনে সন্দেশখালিতে রুট মার্চ করেছে শুরু কর কেন্দ্রীয় বাহিনী যখন রাজ্য রয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। এমনিতে বেঞ্চ সন্দেশখালি নিয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে জানতে চায়। শেখ শাহজাহানের মতো ব্যক্তিরা যাতে ভোটে বিঘ্ন না ঘটাতে পারে না পারে তার জন্যও কড়া বার্তা দিয়েছে কমিশন।
আরও পড়ুন। পূর্ব মেদিনীপুরে ১০৪ বছরের পুরনো সমবায় সমিতির ভোটে ধরাশায়ী TMC, জয়ী হল BJP