লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট এখনও প্রকাশ করেনি জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তার আগেই বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়া জেলায় এসেছে তিন কোম্পানি করে আধাসেনা। ভারী বুটের শব্দে গ্রামবাসীরা খানিকটা আতঙ্কিত। তার মধ্যেই আগামী ৭ মার্চ আরও এক কোম্পানি করে আধাসেনার আসবে বলে খবর। সব ঠিক থাকলে আগামী ১৪ মার্চ লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তাই এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু হয়েছে জেলায়। আর কেন্দ্রীয় বাহিনী বাংলায় পা রাখতেই তাদেরকে বসিয়ে না রেখে সন্ত্রাসকবলিত এলাকায় টহলে পাঠানোর দাবি তুলেছে বিরোধীরা।
এদিকে স্কুলগুলিতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর। ফলে শহর থেকে জেলায় বহু স্কুলের পঠনপাঠন শিকেয় উঠেছে বলে অভিযোগ। তার উপর এত আগে থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পড়ায় গ্রামবাসীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। ভোট ঘোষণা হল না তার আগেই কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পড়া নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই বিষয়ে বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি বলেন, ‘মোট চার কোম্পানি আধাসেনা জেলায় আসতে চলেছে। যার মধ্যে দু’টি কোম্পানির তথ্য পেয়েছি। বাকিগুলির তথ্য এখনও আসেনি। তাদের থাকা নিয়ে আলোচনা চলছে।’
আরও পড়ুন: নারী নির্যাতন থেকে বাংলাকে বঞ্চনা নিয়ে আক্রমণে তৃণমূল, জবাব দিল প্রধানমন্ত্রীকে
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পড়ায় জেলা পুলিশ কর্তাদের মধ্যে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা এবং বাকি সবকিছু নিয়েই এই বৈঠক হয় বলে সূত্রের খবর। এমনকী জেলাশাসক সিয়াদ এন এবং পুলিশ সুপারের মধ্যেও একটি বৈঠক হয়। নির্বাচনের সময় জেলায় আসা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে স্কুলে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। তবে জেলার একাধিক থানা এলাকায় আধা সেনাদের রাখার বিষয়টি চিহ্নিত হলেও সেখানে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলা যায়নি। কারণ সেখানে পরীক্ষা চলছিল। তাই জেলায় প্রথম দু’দফায় আসা চার কোম্পানি আধাসেনাদের কোথায় রাখা হবে সেটা নিয়ে আলোচনা চলছে।
এছাড়া রাজনৈতিক সন্ত্রাস হয়েছে এমন এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলদারির কাজ শুরু করার দাবি তুলছে বিরোধীরা। সিপিএমের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক অজিত পতি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী জেলায় আসার পর যাতে বসিয়ে না রাখা হয় সেদিকে নজর দিক নির্বাচন কমিশন।’ বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তথা ওন্দার বিধায়ক অমরনাথ শাখা বলেছেন, ‘বিষ্ণুপুর মহকুমার জয়পুর, পাত্রসায়র, কোতুলপুর, ইন্দাস, সোনামুখীর মতো ব্লকগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহল শুরু করা দরকার।’ আর তৃণমূল কংগ্রেসের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরূপ চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনীকে স্বাগত। বিজেপি সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরির চেষ্টা যে এলাকায় করছে সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর দাবি আমি তুলছি।’