এখন তিনি বিজেপির বিধায়ক। সেই সূত্রেই তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। হ্যাঁ, তিনি শুভেন্দু অধিকারী। একদা তৃণমূল কংগ্রেস থেকে অধুনা বিজেপি শিবিরে গিয়েছেন তিনি। আর তার পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে চলেছেন। একুশের নির্বাচনের আগে থেকেই তিনি তা শুরু করেছেন। এবার তার ঝাঁঝ আরও বাড়ালেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘নিকৃষ্টতম রাজনৈতিক প্রাণী’ বলে অভিহিত করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
এই শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এখন নানা তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়। সেচ দফতরের দুর্নীতি নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে হচ্ছে তদন্ত। ত্রিপল চুরি নিয়েও হয়েছে মামলা। এবার এই বিষয়ে বিজেপির আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনীতে যোগ দিয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, ‘আমি জীবনে কয়েক লক্ষ ত্রিপল বিলি করেছি। আর ওরা বলছে ত্রিপল চুরির কথা। এই স্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গিয়েছেন। একটা নিকৃষ্টতম রাজনৈতিক প্রাণী। মিথ্যা ছাড়া সত্যি বলেন না। সমস্ত দুর্নীতির জীবাণু ওঁর শরীরে আছে।’ এই মন্তব্য করার পর থেকেই তোলপাড় রাজ্য–রাজডনীতি।
এই মন্তব্য করার পর পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি পাল্টা বলেন, ‘রাজনীতিতে জন্মদাত্রী মাকে অস্বাকীর করছেন। ওঁর মতো কুলাঙ্গার সন্তান খুব কম দেখা যায়। গোটা পরিবার যাঁর জন্য প্রতিষ্ঠা পেয়েছে তাঁর সম্পর্কে এমন মন্তব্য অকৃতজ্ঞের প্রমাণ।’ সম্প্রতি পুরসভা থেকে ত্রিপল চুরি নিয়ে জোর আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল। তার জল অনেকদূর পর্যন্ত গড়িয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের চুরির উৎস নিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের চুরির পুরো উৎস এবং সাপ্লাই লাইন হচ্ছে একশো দিনের কাজ। একশো দিনের কাজ থেকে কোটি কোটি টাকা মারছে। আইবিএসের (ইন্ডিভিজুয়াল বেনিফিট স্কিম) সব টাকা ঝেড়েছে। আমি ব্যবস্থা করছি। এদের পায়ের নখ থেকে মাথার চুল পর্যন্ত আমি জানি।’ এর আগে দুর্গাপুজোয় মদ বিক্রি করে মুখ্যমন্ত্রী রোজগার করেছে বলেও কটাক্ষ করেছিলেন শুভেন্দু।