নিম্নচাপের প্রভাবে রাজ্যের পূর্ব দিকের জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাত কমলেও পশ্চিমের জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। নদীর জলস্তর বাড়ছে। জলস্তর বেড়ে যাওয়ার কারণে দূর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া শুরু হয়েছে। এর ফলে পশ্চিম বর্ধমানের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, নিম্নচাপটি রাজ্যের পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূমের ওপর অবস্থান করছে। ক্রমশ এটি ঝাড়খণ্ডে হয়ে দক্ষিণ বিহার ও দক্ষিণ উত্তর প্রদেশের দিকে যাবে। নিম্নচাপ অক্ষরেখার অবস্থানের জন্য পশ্চিম বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। শুধু পশ্চিম বর্ধমানেই নয়, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়াতেও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এরফলে পশ্চিমাঞ্চলের একাধিক নদীতে জলস্তরের পরিমাণ বাড়বে বলেই আশঙ্কা। নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ৫১.৮০০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। বৃষ্টির পরিমাণ যদি একই হারে চলতে থাকলে জল আরও বেশি পরিমাণও বাড়বে বলেও জানিয়েছে ব্যারেজ কর্তপক্ষ। ব্যারেজ থেকে বিপুল পরিমাণে জল ছাড়ার ফলে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে টানা বৃষ্টিতে টুমনি নদীর জলের তোড়ে ভেসে গেল শিবপুরের ভাষাপুল। ঝুঁকি এড়াতে বন্ধ করে দেওয়া হলো শিবপুর মুচিপাড়া সহ আরও বেশ কয়েকটি রুটের বাস চলাচল। মুচিপাড়া শিবপুর হয়ে বীরভূম যাওয়ার সব রকম যোগাযোগ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। যার জেরে চরম দুর্ভোগের মুখে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
এদিকে শুধু পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে নয়, পশ্চিমবঙ্গ এবং সিকিম সীমানার একাধিক এলাকাও বৃষ্টিপাতের ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কালিম্পঙে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। এর ফলে সিকিমের সঙ্গে যোগাযোগ সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। সেবক-রংপো রেল প্রকল্পের কাজ চলার সময় এই ধস নামে। ধসের জেরে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে, নিখোঁজ ২। যুদ্ধকালীন তত্পরতায় মেরামতির কাজ চলছে।